ইচ্ছে করে মোর,
বিহগের ন্যায় উরু হয়ে আকাশেতে উড়ি
উড়ে উড়ে ইচ্ছা নীঢ়ে পুরো ভবে ঘুরি
দেখি আমি ঘুরে ঘুরে যত শত নবপুরি।
কখনো বা ইচ্ছে জাগে,
ঘুড়ির ন্যায় ধাবনে আসমানে চড়ি
সুতা কেটে হঠাৎ বাগে,
মহা নদ কিবা সাগরের কিনারায় পরি।
সাঁতার কাটি আমি সিন্ধুর জলে হরি।

কখনো ইচ্ছে হয়,
চাঁদ কিবা তাঁরা হয়ে আকাশেতে ভাসি
চাঁদনী মাখা রাতে হই উল্লাসী
জোনাকির নীঢ় প্রভা জ্বেলে,
আঁধার রাতে কুটি কুটি হাসি।
কভু ইচ্ছে করে,
ভোরের ঘাসে শিশির হয়ে জমি
রোদ হলে উঠে যাই সুর্যমূখী
গান গাই শানে মোর প্রণয়ী,হায়!
                             কাপাই ভুমি!

কখনো মন মোর,
বসন্তের কোকিলের সুধাকর সুরে,
গাহি গান সুরে স্বরে প্রতিদিন ভোরে।
কখনো চায়,
চরি মন সারাদিন ঝোপঝাড়া বনে বনে
মিশে যাই অগ্রনের সোনা মাখা ধানে ধনে।
সাগরেতে মাছ হয়ে পানিতে খেলি-
সিন্ধুর জলে ভরি,মন মাঝি হয়ে চরি
সোনার তরী লয়ে বারিতে হরিহরি।
নিশ্চুপ তিমির নিশে বিজলী হয়ে-
               আলোর ঝলক নিয়ে আসি।
কখনো ইচ্ছে করে,
হয়ে যাই পাহাড়,হয়ে যাই বিস্তার প্রস্তর
উঁকি মেরে ছুঁয়ে ফেলি বিশাল আকাশ
আটকে দেই আমি দখিনা বাতাস।
ফুল হয়ে মানবেতে বিলি দেই সুঘ্রাণ
তবেই না তৃপ্ত হবে মোর মন প্রাণ।

কখনো বা চায় মন,
গাছের ডালে ডালে ,
বাঁশের ডগায় মাঝ বয়সী লালে
পাতা হয়ে নেড়ে নেড়ে দুল খাই,
তাই বলি ভাই,মোর মনে ইচ্ছার কোনো
                                  শেষ নাই।