এইতো ক্ষণিক আগেও সে ছিলো প্রাণচঞ্চল,
বড় শখ করে হাঁতে মেহেদি লাগিয়েছে কেবল।
নরপিশাচের দল সে মেহেদি রঙ ধরতে দিলো না,
শকুনের রক্তচক্ষুর শিকার চঞ্চলা,
হেঁসে গেয়ে পুরো গাঁ মাতিয়ে রাখবে না,
হয়তো আর কখনওই কথা বলবে না।
যে অধর পল্লবে শোভাময় ছিল প্রাণচাঞ্চল্যের গান,
আজ শোভিল বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার আপ্রাণ,
কোথায় মানুষজন আর মানবত্ব? কেহ এগিয়ে এলো না,
চঞ্চলার শেষরক্ষা আর হলোনা।
শকুনেরা চঞ্চলাকে ধাওয়া করে,একসময় লুটিয়ে পড়ে মাটিতে,
তার কাপড়, পেটিকোট, ব্লাউজ খুলে শকুনের রক্তচক্ষু করে উল্লাস,
দানবীয় কায়দায় ঝাঁপিয়ে পড়ে তার যৌনাঙ্গে,
চঞ্চলা জলচোঁখে সয় ভাগ্যের নির্মম পরিহাস,
শকুনের স্বস্তিকর নিঃশ্বাস,
দুষ্টচক্র কাহিনী সাজাচ্ছে, চঞ্চলা লো তোরে নিয়ে রটবে উপহাস।
চঞ্চলা আর হাঁসবে না, আর গাইবে না,
তৃপ্তিকর হাঁসি কতজনার মুখেচোখে,
জেনে নিস তোদের এই হাঁসিও রইবে না।
কাল নতুন চঞ্চলা হবে তোদের'ই রক্তের কেউ,
সতীত্ব হারাবে তোর চোখের সামনে তোর আহ্লাদী বোন,
তখনকি তোর শিরা উপশিরায় বিদ্রোহ করবেনা তোর দেহের খুন?
কি করবি? মারবি কাকে, ধরবি কাকে?
করবি কার খুন?
প্রতি ক্ষেত্রে, পদেপদে যদিনা করি অন্যায়ের প্রতিবাদ,
এই সমাজে প্রতিদিন বাড়বে অপরাধ।
প্রতিবাদে সমাজ হবে সুষ্ঠু,
ধ্বংস হবে অন্যায় নির্মূলিত হবে পাপিষ্ঠ।
অপরাধী পাপী তার কর্মে,আমরা পাপী তা সয়ে,
দোষের বেলায় সবাই মানেনা সমানাধিকার,আজ নিতেই হবে বয়ে।