হিরণ বদনের প্রিয়া আমার,ডাগর তাহার হরিণাক্ষী,
চোখে প্রেম তার মনে শংসন,
রমণী তুই ভাবছিস কি?
তোর ভূ তুই নিজহস্তে সাজা ;আপনমনে।
হোক সে সাদাকালো, রঙিলা কিংবা বিবর্ণ ফিকে রঙের,
কেনো নিজেরে তুই আড়ালে রাখিস,
কেনো করিস;মরি হরি হরি?
কামিনী, কেনো তুর অক্ষিতে এতো লাজ!
তোকে ভেবে কবে কোন কাজটি করেছে তুর সমাজ?
তোর মুখে শুনি কাদের কীর্তনাঙ্গ ;-
যাদের চোখে ঘুরপাক খায় তোর সারা অঙ্গ?
নাকি যারা উৎ পেতে আছে খপ করে ধরতে তোর অধর পল্লব-?
কীটপতঙ্গে ভরা সমাজ,কীট'ই মহারাজ,
বসুধা জুড়ি চলছে আছি কীটজাতের মহাউৎসব।
ওরে অবলা নির্বোধ ;
তোর জলযান চালা তোর ইচ্ছেমত,
যেখানেসেখানে ইচ্ছেমত ফেল নোঙর,
নিজের ইচ্ছেমত বেছে নে ;কোথা হবে তোর রোধঃ,
স্ত্রীজাত বারংবার হয়েছিস নিন্দিত,
রোষানলে জ্বলে তোরা রোজ মরেছিস,
তবুও বাঁচার আশা আজও রেখেছিস সঞ্চিত,
বাঁচার আশা মনে পোষে, সমাজনীতি নিয়ে আবার সংকুচিত,
লোকপরম্পরার দোহাই তোদের মাথায়,
সমাজের ভয়ে বলি গেছে তোর কত-শত অভিলাষ,
ওরা জানে শুধু ঘেউ ঘেউ,তোকে কিছু দেবেনা এ কীটের সমাজ।