গণতন্ত্রের ঘুড়ি চলে উড়ি উড়ি
আকাশের অসীম বলয় জুড়ি
নাটাই হাতে নিয়ে বসে আছে পাগলা কানাই ।
একটু একটু সুতা ছাড়ে
ঘুড়ি ওড়ে চুপিসারে
দেশ থেকে মহাদেশে
কানাইয়ের পছন্দমাফিক স্থানে এই ঘুড়ি থামে ।
তখন আকাশে সূর্য ওঠে অথবা চাঁদ
বিকিরণ করে মৃদু তাপ মধ্যযামে
বাংলার মাটিতে ঘুড়ি কভু নাহি নামে ।
ইউরোপে আছে গণতন্ত্র
আমাদের দেশে তন্ত্রমন্ত্র
পাশের দেশ মিয়ানমার
সেখানে গণতন্ত্র শুয়েছিল চৌকিতে
মিলিটারির গুতায় চৌকি ভেঙে মিসমার ।
শ্রীলংকায় গণতন্ত্রের শ্রীবৃদ্ধি হচ্ছিলো
সিংঘলী ভাইদের হাতে
বাদ সাধে তামিলেরা লিপ্ত হয় কঠিন সংঘাতে ।
এখন সেখানে কবরের শান্তি
গণতন্ত্রের এক বোতল সিরাপ খায় তারা প্রত্যহ প্রভাতে ।
ভারতে গণতন্ত্রের পতাকা উড়ছে দিনরাত
আলোকিত করে রাখে সারাদেশ
মুছে গেছে সব জাতপাত ।
কিছুদিন পর পর তারা ভোট দিতে পারে
হোক সেটা মাদ্রাজ বা কোলকাতা অথবা বিহারে ।
ভারতের শাসকেরা গণতন্ত্রের চাষি
মুখে বলে গণতন্ত্র খুব ভালোবাসি ।
যতদিন পারি সেবা করি তারপর চলে যাবো কাশী ।
কিন্তু তারা প্রতিবেশী দেশের জন্য চায় প্রশ্নহীন আনুগত্য
জনগণ গণতন্ত্র দুই বেলা খাবে ঔষধ হিসাবে
এবং গণতন্ত্রই সেখানে একমাত্র পথ্য ।