অনলাইনে বাংলার জয়জয়কার এখন। একবিংশ শতকের এভাগে এসে আমরা বাঙালীরা বাংলা ভাষা, সাহিত্য এবং বাংলায় মত প্রকাশের, আলোচনা সমালোচনার দক্ষতায় বাংলাকে দ্রুত ছড়িয়ে দিয়েছি অনেক বিস্তৃত পরিসরে। অনলাইনে বাংলা লেখালেখি হচ্ছে বেশ কবছর ধরেই। যদিও খুব লম্বা নয় সময়টি। কিন্তু এ সামান্য সময়েই বাংলা আর বাঙালী লেখকদের অর্জন কিন্তু অসামান্য। অনলাইনের গুণে সাইবার তথা ইন্টারনেট নির্ভর এ বিশ্বায়নের যুগে সমগ্র বিশ্বে বাংলা পরিচিতি পেয়েছে, স্বীকৃতি পেয়েছে, বাহবা কুড়িয়েছে, সম্মান কুড়িয়েছে, পেয়েছে সার্বজনীন গ্রাহ্যতা।
বাঙালী লেখকগণ জুড়ে আছেন এসব অর্জনের এসব স্বীকৃতির পুরোধা জুড়েই। বাঙালী লেখকগণ যে এখন অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়েছেন, পড়ছেন তা কিন্তু একেবারে অনর্থক কিংবা অবাক করার মত কিছু নয়। নষ্টালজিক ব্যপারগুলো ইদানিং সামনে চলে আসে বারবারেই। কারণ এখন চর্তুদিকে তাকালে দেখি লেখালেখির স্টাইল পাল্টেছে, পাল্টেছে পঠন প্রক্রিয়াও, পাল্টেছে প্রকাশভঙ্গিরও এবং প্রকাশ মাধ্যমও। প্রিন্টিং মিড়িয়া চাপা পড়ে প্রায় হেরেই গেছে ইলেক্ট্রনিক মিড়িয়ার কাছে। ইলেক্ট্রনিক মিড়িয়ার সুবিধা হল লেখা প্রকাশের জন্য অতো বেশী স্ট্রাগল করতে হয় না। তবে প্রকাশের পরে কতোটুকু বাহবা পেলেন সেটা দেখবার বিষয়।
মি মনে করি লেখা প্রকাশ যেভাবেই হোক, যেখানেই হোক, যে প্ল্যাটফর্মেই হোক, যখনই হোক না কেন মুক্ত বিহঙ্গের মতই হওয়া উচিত। প্রতিটা লেখকেরই খোলা একটা আকাশ থাকা উচিত, মুক্তভাবে দেখার আকাশ, মুক্তভাবে ভাবার আকাশ, মুক্তচিন্তা করার আকাশ, মুক্তকলমের লাইন টানার আকাশ আর সে আকাশে ভাসা প্রতিটা লেখারই ডানা থাকা উচিত... -
আবর্জনাকে রবীন্দ্রনাথ প্রশংসা করলেও আবর্জনাই থাকে- হুমায়ুন আজাদ http://www.bangla-kobita.com/shopnilshishir/post20140809103732/