এখন আমি খুব একা ভীষণ ক্লান্ত
কেমন যেন অজানা একটা ভয়ে,
নিজের ভেতর কুকড়ে যেতে বসেছি!
মনে হচ্ছে এই বুঝি কেউ এসে
আমাকে টেনে হেচরে নিয়ে যাবে,
কোন এক নৈসর্গিক ভূবণে!
যেখানে পৃথিবীর কোন আঁলো নেই
নেই ফাগুনের মাতাল করা বাতাস,
নেই প্রকৃতির কোন বন্ধন; এমনকি
নেই কোন খোলা রাঁজপথ।
আমি ক্রমশঃ শিউরে উঠছি
শরীরটা কেমন যেন ঝিম খেয়ে মুচরে পড়ছে!
নাকে ড'গা বেয়ে দু'ফোটা ঘামও ঝড়ে যায়।
অজানা ভয়টা আরও কাছে আসতে থাকে
আমি পালাতে থাকি,
আঁকাবাঁকা পথ ধরে।
কখনও নঁদীর পাড়
কখনও'বা পাহাড়,
আবার কখনও'বা ক্ষেতের আঁল ধরে।
তবুও আমার চলার পথ ফুরোয়না
যেন যেতে হবে আরও অনেক দূড়!
সহস্র ক্রোঁশ মাইল পেড়িয়ে।
হঠাৎ আচমকা এক হোচট খেয়ে পড়ে যাই আমি
চেতনা ফিরে পেতেই চেয়ে দেখি,
পা বেয়ে অঝোরে রক্ত ঝড়ছে
ক্ষণিকেই দেহটা শীতল হয়ে যায়।
পিছনে ফিরে তাকাতেই
অজানা ভয়টা আবারও তাড়া করে,
উঠে দাড়াই, আবার পালাতে থাকি।
কাঁশবণ, বাঁশের ঝাড়, কখনও'বা
কাঁটা বনলতা মারিয়ে,
ছুটে চলেছি মুক্তির আশায়।
এবার নাকের ড'গা বেয়ে আর ঘাম নয়
দু'ফোটা লাল রক্ত ঝড়ে পড়লো,
বুঝতে পারছি, কপাল ফেটে রক্ত ঝড়ছে।
পাথরের মত নিশ্চল হয়ে বসে পরলাম,
চোঁখের পাতা দুটি মিলনের জন্য ছটপট করছে।
বাঁধা দিলাম না; কিন্তু ক্ষণিকেই
অজানা ভয়টা এসে আবার তাড়া করে।
চোঁখ মেলি, উঠে বসি
দেখি;
সামনে অনেক পথ বাকি
আমি আবার পালাতে থাকি।