হৃদপিণ্ড থেকে সকল আবেগি সেতুবন্ধন গুলো
অদৃশ্য ঝড়ে টুটে গেছে কবেই, আজ তা বুঝতে পারি,
মনস্তাপের বেড়াজাল টপকে, লাল সমুদ্র পিণ্ড চড়ে
ভালোবাসার ভ্রূণ জন্মে না আর কোনো কারণেই,
অন্তঃসারশূন্য হয়ে গেছে প্রেম চেতনার সব অলিগলি
বিস্তৃত আঁধার বেষ্টনীতে বন্দী,সকল রঙিন চাওয়া পাওয়া গুলো
এ এক সুউচ্চ প্রাচীর দুর্গে দুর্লঙ্ঘ-নীয়,দুর্বোধ্য কারাগার বাস,
যেদিকেই তাকাই শূন্যতার চাদরে মোড়া একাকীত্ব
বেঁচে থাকার শ্বাস-টুকুই ফেলে গেছে ভীষণ কৃপায়,
আজ বড় অসময়ে বড় অবেলায় উপলব্ধি করি
কেউ একজন সর্বস্ব নিয়ে গেছে।
আমার খরা বিষাদ রোদ্দুরে মায়ার শ্রাবণ,পূর্ণ চন্দ্র তিথি আলিঙ্গন,
হিম অবনী তলে আকাশের নক্ষত্ররাজির অবাধ কোলাহল
সহস্র জোনাকির আলোর ঝলকানি,মনও মাধুর্যের অলঙ্কারে শব্দের মিলন
আমার রাত্রি আর নিষুপ্তি নিদ্রার স্বপ্নে চাঞ্চল্য সুখের নিমগ্নতার সুখ
বাঁচার অদম্য দুর্নিবার প্রাণ শক্তি,অমৃত পেয়ালায় সাজানো-
সেই মধু সুধা প্রেম, শারদ প্রাতের শুভ্র প্রান্তর মায়া আজ শুধুই
ধু ধু অসীম বিরানভূমি,শূন্যতা বিধুরতার তপ্ত বিষাদ জমিন,
কানায় কানায় পৃথিবী পরে থাকে অকর্মণ্য সেজে,চিন্তার এক পাশে
বুঝি,কেউ একজন সর্বস্ব নিয়ে গেছে।
কতদিন দেখিনা,শীতলক্ষ্যার সন্ধ্যা তীরে অর্ধ-শশী চাঁদের আলোয়
অরুণ প্রভার বিকিরণে ঢেউয়ের দোলাচলের খেলা,
দেখিনা ডিঙ্গির মাস্তুলে উদাসী কাকের স্নান ঝরানো ব্যস্ততা
শুনিনা,সেই শিহরণ রাঙ্গায়িত সবুজ ঘাসে হেলান দিয়ে যৌবনদীপ্ত গান
কোনো আপন চেনা গন্ধে সুধা রোদ্দুর গায়ে মেখে আর কখনোই-
খুঁজে পাইনি ভালোবাসার অন্তিম ঠাই,
শরতের বিকেলে হাতে হাত রেখে রোমাঞ্চিত মধু ক্ষণ-
আর আসেনি ফিরে কোনো দিন,পথ ভুলেও,
চৈত্রের ভর দুপুরে,প্রেম বৃক্ষ ছায়ার মায়া শীতলতায় বসে
অথবা ধরণীর আকাশ নীলে মৌন স্বাধীনতা আবেগি অবগাহনে ডুবে
বলতে পারিনি প্রাণ খুলে বিশুদ্ধ চিত্তে,ফিরিয়ে দাও
চেয়ে থেকেছি নির্বাক হয়ে আমার সর্বস্ব সুখ বিনাশনে
আজ অবেলায় কারে সুধাই,বলো ?
কেউ একজন সর্বস্ব নিয়ে গেছে।