বিধাতার এ ধূলিকণার রাজুত্যে বিদ্বেষ আড়ম্বরের প্রজ্বলিত মশালে এখন-
মানব প্রীতির তাজা নির্যাস শুধুই কালো কুন্ডুলির ধোঁয়ায় নিমজ্জিত বৃত্ত
মগজের ক্লান্তিময় ইচ্ছা অনিচ্ছার আঙ্গিনায় বাসা বেঁধেছে আত্ম-হত্যার শিকড়
হতাশা-দগ্ধ প্রজন্মের বিপর্যস্ত নিরাশার সুড়ঙ্গে জাঁকজমক ডালপালা ছড়াচ্ছে
স্বপ্নভঙ্গ দুঃস্বপ্নের রক্তচোষা বট বৃক্ষ, দিনের পর দিন ।
জীবনের সূচনার মহা আশার চিলেকোঠায় ওঁত পেতে বসে আছে কুপ্রক্ষোভ শয়তান
কারো কিছুই করান নেই যেন,অগ্নি অন্ন গিলে সকলেই কি সয়ে গিয়েছে এভাবেই ?
পরিশ্রান্ত ক্লান্ত মানবতা গা এলিয়ে শুয়ে আছে অন্তিম বিনাশনের শ্মশানে
এমন উপায়হীন বিষ বাতাসে সে শুধুই গুনে যায় কালের তলবি ।
সত্য আর ন্যায়নিষ্ঠার নির্ভীক যোদ্ধারা কোণঠাসা হয়ে নেতিয়ে গিয়েছে কবেই
কালের বেত্রাঘাত আর মগেরমুল্লুক স্বৈরাচারীর চির হিংস্র গর্জনে মত্ত চারিদিক
রাতের বালিসে মাথা রেখে চোখ ভেজায় শান্তি নামের সেই ফেলে আসা পৃথিবী
যাতনার অসহনীয় প্রকোষ্ঠে শ্বাসরুদ্ধ,তবু শ্বাস নেয় সে ভাগ্যলীন সময়ের বাতাসে,
নিষ্ঠুর ছকের রাজা ইবলিসের আহূতি, গ্রহণ করে মানব নামের বেকুব প্রাণ
আর তার পর সংকীর্ণতার আঁতুড় ঘরে মানুষ রূপ পাল্টে জন্ম নেয় অমানুষিক পিচাশে
স্বার্থান্ধ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীবের পরিচয় অস্তমিত হয় এ ধরায়,এ ভাবেই ,
মৃত পৃথিবীর ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া সবুজ কার্পেটে, লোভে নিমজ্জিত কুকুর
ছিঁড়াছিঁড়ি করে আশরাফুল মখলুকাত নামক প্রাণের শ্রেষ্ঠত্ব কে
এই তো চলছে,পরমাত্মার ধূলিকণাসম ধরায় সম্মান দান
দিনের পর দিন ।