কত শৈল্পিক ভূষণে রাঙ্গিয়েছি নিজেকে
তুমি একবার এসে দেখে যাও,
বিরামহীন প্রেমানুভূতি প্রলয় এখনো দোল দেয়-
যে গভীর শ্বাসের নিবির নিরবধি স্রোতে ,
সব কিছুই আছে ঠিক ঠাক আগের মতই, যেমন ছিল
চেতনায় তাজা অপরিস্ফুট দৃষ্টি-কথন বোঝাপড়া
খুব সখে তোমার কৃষ্ণ কেশের দীঘিতে জলকেলি আশ
সুখের অসুখে,কাছে থাকা না থাকার প্রভেদ অনুভূতি
সব,সব বুঝি, আজ সুখ ছিন্ন একলা উঠোনে বসে
এতো মত্ত বিষাদে,আজ শুধুই গুনে যাই পরিপক্ব খেদের গুটি
দেখে যাও,একবার এই আমাকে।
চৌচির চৈত্রের তীব্র তাপদাহে আমি এক সরল কল্পকথক
নিরলস ভঙ্গিমায় কলম আর কাগজের সাদা জমিনে
বহুরূপী অবয়বে উপচে পরে হাজার শব্দ রাশি রাশি
স্মৃতিতে অতীত আর্তির শব্দফুল আতসবাজির এমন খেলা
এই অক্ষরগুলোকেই আজ আমি বড় বেশি ভালোবাসি।
আমার সন্ধ্যে শয়ন একলা ঘরেই দৃষ্টি-সীমা আজ বন্দী
সময়ের তৃপ্ত পরিহাসরত দেয়াল ঘড়ির গায়ে ছড়িয়ে আছে-
তুষ্ট মাকড়শার শৈল্পিক জাল,
রঙচটা দেয়ালের শরীর বেয়ে উই পোকার তামাশার ঘর
চায়ের কাপ,চিনির কৌটা অথবা পড়ে থাকা উচ্ছিষ্ট খাবারে-
অবিরাম চলছে মাছিদের জম্পেশ আড্ডা,এখানেই তাদের বালাখানা
আপন জন বলতে,আমিই ওদের খুব কাছের,খুব মেনে নেয়ার।
জীবনের অসত্যে চলে, আদিখ্যেতার খেতাব আমি আজও চাই না
চাইনা আমর সত্য পোষ্য অজস্র শৃঙ্খল ভেঙ্গে দেখতে নতুন কু-স্বপ্ন
শুধু চাই, ফুরিয়ে যাবার আগে,তোমার ফেলে যাওয়া-
আর আমার রচনায় এ রচিত কুঞ্জ -
অনিচ্ছার বাঁধা পেড়িয়ে,শুধু একবার দেখে যাও-
আমার রচিত শৈল্পিক কল্প প্রাসাদ,
যেখানে তুমি আজও আছো বড় বেশী আপন-
একমাত্র সম্রাজ্ঞী হয়ে ।