মা,
স্বর্গের সুষমায় ঘেরা, এমনি এক শব্দ
যা অতি নিগূঢ়, ব্যাঞ্জনাময়, আবেগী অর্থবদ্ধ।
দশমাস দশদিন গর্ভে রেখে, লালন করার পর
কোন এক সময় ভূমিষ্ঠ কোরে, আলোকিত করে ঘর।
কেউবা দেখ অদৃষ্টের দোষে, চোখ নাহি আর খুলে
মরণ বীণা বাজায় সেজন, সন্তান বুকে তুলে।
অদৃষ্টের তরে যারা আবার, বেঁচে ফিরে ঘরে
সন্তান দেখে সমস্ত ব্যাথা, নিমিষেই যায় সরে।
ধীরে ধীরে কত কথা, ফুটে শিশুর মুখে
তা শুনে হেসে ব্যাকুল, মা চির সুখে।
আঁচল তলে রেখে মা, সন্তান করে যত্ন
বিপদ আসলে সামনে দাঁড়ায়, আড়ালে রেখে রত্ন।
মুহূর্তের জন্য হলে আড়াল, সন্তান মায়ের থেকে
চক্ষুজলে গোস্বা করে, মুখ আঁচলে ঢেকে।
অশ্রুসিক্ত কন্ঠে মা কয়, সন্তানকে আঙুল নেড়ে
'বল্, আর যাবি না কোথাও, এই আমাকে ছেড়ে?'
সন্তান তার চিরদিন বাঁচুক, এইতো মায়ের আশা
স্রষ্টার তরে কয় গো তাহা, ভিজিয়ে মুখের ভাষা।
বড় হয়ে সন্তান যেন, মায়ের প্রতি হায়!
ছোট বেলার আদর-স্নেহ কেমনে ভুলে যায়।
দূরে গিয়ে থাকে মাকে, একলা করে দিয়ে
ছায়া খুঁজে, ছায়া ছেড়ে, রোদের মধ্যে গিয়ে।
অতীত স্মৃতি মনে করে মা, কেঁদে ভাসায় বুক
দুঃখে রেখে স্রষ্টা আমায়, সন্তানকে দিও সুখ।
সন্তান কি হতভাগা হায়!!
বৃদ্ধাশ্রমে রেখে মাকে, স্বর্গ খুঁজে বেড়ায়।
কোথায় খুঁজিছ ভাই স্বর্গ তুমি, পাবে না কোনো ঘরে
যেথা থাকে স্বর্গ সেথা, দেখনাই ভুল করে।
মনরে শুধাও তোমার স্বর্গ, কোথায় আছে রাখা
রয়েছে দেখ স্বর্গ তোমার, মায়ের পায়ে ঢাকা।।
=======================
রচনাকালঃ ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫।