মৃন্ময়ী,
কখনো বা ইচ্ছে হয় ছুটি তোমার পিছু
পদধূলি তব আঁকড়ে ধরে, কাব্য রচি কিছু।
ধোঁয়াটে সে কাব্য অমোঘ কুয়াশায় ঘেরা
দূর থেকে দেখে তাহা, বাড়িতে হয় ফেরা।
সেই অদূরে দাঁড়িয়ে থাকি____
বিজন পথে হাঁটবে তুমি, দেখবো একাকী।
দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকি অপলক পলকে হায়!
স্বপ্ন আমার ঘরে ফিরে, যতক্ষণ না যায়।
কখনো আবার ভয় হয়, মিষ্টি সে ভয়
থমকে গিয়ে যখন কর, দৃষ্টি বিনিময়।
চির যৌবনায় চিত্ত চঞ্চল নিগূঢ় দৃষ্টি শাখী
করেছে দান স্রষ্টা তোমায়, সযত্নে রাখিয়ো সখী।
সারাজীবন দেখিলেও তাহা মিটবেনা কভু স্বাদ
মাঝে মাঝে মোরে দেখিতে দিয়ো। দিয়ো না অপবাদ।
আমার এ তুচ্ছ গুচ্ছহীন জীবন অতি নগণ্য-
তোমার ছায়ায় পরিশ্রান্ত পথিক, হতে চাই ধন্য।
জানি এ সম্ভব নয়___
তুমি চন্দ্র আমি ব্রাহ্মণ পথিক, তাহা কি করে হয়!!
তাইতো কভু স্বপ্নে তোমায় আঁকি জীবন পটে
স্বপ্ন যে মোর রয়ে যায় হায়! খানিকটা ধোঁয়াটে।।
_________________________
_________________________
উৎসর্গঃ যার জন্য রচিত_(মৃন্ময়ী )
_________________________