জানিনা, কি ভাগ্য নিয়ে জন্মেছিলাম
গরীব মায়ের কোলে
কষ্টের তিব্র হাহাকারে বাবা মা
দুজনেই যায় চলে-
ঐ স্রস্টার করুনার তলে।
পড়ে থাকি আমি একা এক
পথের অনুকূলে।
তাকায়নি কেহ মোর ওপর
একটু ভালবাসার ছলে_
নিয়ে আসে এক ছোট্ট টোকাই
ভর্তি করে নেয় তার দলে।
পথে ঘাটে ঘুরে ফিরে
ময়লা আবর্জনা কুড়িয়ে
বিক্রি করি দু এক টাকা
সেটাও যায় ফুরিয়ে।
পেটের ক্ষুদা নিবারণে
ঘুরি অন্নের অন্বেষণে
পাইনি অন্ন খাওয়ার জন্য
তৃষ্ণার্ত বুক ফাটে নির্জনে।
চর লাথি আর তীব্র গালাগালে
মনে পড়ে মায়ের কথা
মা থাকলে হয়তো ভাগ্য আমার
পেতনা এমন ব্যাথা।
মেঘের জলে গা ভিজে, রোদ এলে শুকাই
কি করব ভাই? থাকার কোন জায়গা নাই
আমি যে টোকাই!!
তুচ্ছ বলে মানব জাতি দেখে বাকা চোখে
ঈদের দিনেও কান্না ক্লান্তি
ছেঁড়া কাপড়ের শোকে।
কষ্টের চরম পর্যায়ে, ভেজা অশ্রুজলে
দু হাত তুলে করি প্রার্থনা
অঢেল সহ্য দিও মোরে
যেন পারি সহ্য করতে
যত মানব লাঞ্ছনা।
জীবন প্রদীপে পরবে যেদিন
স্রষ্টা তোমার ছায়া
উচ্চস্বরে বলি ভাই গো_
কবর দিয় গো মোরে
করে একটু মায়া।
এখন বুঝি মাগো সেদিন
কেন গেলে চলে-
ভেবোনা গো মা, এইতো আমি
আসছি তোমার কোলে।।
_______________
রচনাকালঃ ১৩ জুন, ২০১৩।
===============