নাসরিনের বেঁচে থাকার আর্তনাথ
মোঃ শহীদুল ইসলাম।
তোকে খুব মিস করি রে নাসরিন শিফা দোস।
তুই ছিলি অনেক কাছের সেরা ফুলের এটি রোজ।
কত আনন্দ আর মজা করতাম অনেকে মিলে রোজ।
সর্ব ক্ষন খুঁজতাম তোকে একটু না পাইলে তোর খোঁজ।
সময় গড়ালে প্রকৃতির সারায় সঙ্গির করলি খোঁজ।
তখনই হারালাম তোকে তাই মিস করতাম রোজ।
জানি বিধাতার নিয়ম একদিন হাড়াবেই শৈশব।
দোস তুই তো চলে গেলি রেখে পুরোনো শৈশব।
অনেক বছর পেরিয়ে গেলে ও পাইনি বন্ধুদের কারো খোঁজ।
হঠাৎ একদিন পেয়ে গেলাম তোরে নাসরিন শিফার খোঁজ ।
মনে হলো অনেক সুখে আছে নাসরিন শিফা দোস।
চোখের পানি মুছে বলে কষ্ট আছি রে দোস।
হাতটি আমার ধরে বলে একটু কি বসবি রে দোস?
আনমনা হয়ে বলছি কিছু হয়েছে না কি দোস?
সংসার আমার আগুনের খড়ি কষ্ট দেয় রোজ।
আমায় কি দেখাতে পারবি একটু মাথা গোঁজার খোঁজ।
নিস্তব্ধ হয়ে বসে রইলাম, কিছু বলছিস না যে দোস?
যদি একটু বাঁচতে চাই, তাহলে কি হবে কোন দোষ?
সান্ত্বনা দিয়ে বললাম একটু ধর্য ধর না রে দোস।
আমার কাছে সহযোগিতা পাবে তাই কল দিত রোজ।
বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়ে খোঁজ নিতাম রোজ।
দুর্ভাগ্য আমার হারিয়ে ফেলবো রে তোকে দোস।
মনে মনে খুঁজতাম তোর পাই নাই কোন খোঁজ।
তখন থেকে কষ্ট পেতাম আর খোঁজ করতাম রোজ।
হঠাৎ একদিন খবর দিল নাসরিন শিফার নিছিস কি খোঁজ?
নাসরিন শিফাকে বাঁচতে দিল না পাঠিয়ে দিল নিতে পরকালের খোঁজ।
কথা শুনে লুটিয়ে পারলাম, কি করলি রে দোস।
পরলোক গমনে পাঠানো টা কি ওর স্বামির এতই সহজ?