ব্যবচ্ছেদের অপেক্ষায় ঈশ্বরের লাশ
নিথর পড়ে আছে মর্গের টেবিলে।
অথচ ইলিয়ন পুলিশের ভাষ্য
এটা নাকি ৬ বছরের শিশু ফাইউমির মরদেহ!
এতটুকু বুকে ২৬ বার ছুরি চালিয়েছে
বাইডেনের সহোদর- জুসেফ কুবা।
স্বর্গের প্রাসাদে ঢেলে দিয়েছে বিদ্বেষের হেমলক।
পৃথিবীকে জাহান্নাম বানিয়ে
মানবতার আত্মস্বীকৃত মাতব্বর- হে আমেরিকা,
যে বিভীষিকা এঁকে দিয়েছো
শিশু ফাইউমির বিধ্বস্ত বুকের মানচিত্রে,
ডুমের চাকু রাখার একবিন্দু জায়গা নেই সেখানে!
কর্তিত হৃদপিণ্ডের প্রবাহিত রক্তস্রোতে
অসমাপ্ত আয়ুর আর্তনাদ,
নির্লিপ্ত চোখে নির্লজ্জ পৃথিবীর বোবা ভাস্কর্য!
অস্তমিত সূর্যের মতো চলে গেছে
ওয়াদিয়া আল ফাইউমি,
ওয়াইনের স্বচ্ছ জলে এখনো সাঁতার কাটছে
প্লেনফিল্ডের নাগরিক ঠোঁট।
অতঃপর অভিজাত কারাবাসে
মানবতার পৃষ্ঠা উল্টাবে
প্রাজ্ঞ সাম্প্রদায়িক জল্লাদ- জোসেফ কুবা।
কাঁচের ফুলদানির মত ভেঙে যাবে ফিলিস্তিন,
সন্তানহারা শোকে উন্মাদ হবে অগণিত হানান শাহীন।
হন্তারকের রক্তখেকো জিহ্বায়
ধ্বনিত হবে মৃত্যুর হুঙ্কার -
"মুসলিমদের অবশ্যই মরতে হবে!"
ঝলসিত গাজার উত্তপ্ত বালির ক্যানভাসে
অঙ্কিত হবে
নিহত নক্ষত্রের সর্ববৃহৎ সলিল গ্রেভিয়ার্ড।
আর এই আমরা পক্ষাঘাতগ্রস্ত জাতিসংঘের মত,
নৃশংস হত্যাযজ্ঞের নিরব দর্শকের মত,
শিশু ফাইউমির বোবা মরদেহের মত,
নষ্ট মানবতার ব্যাপক উচ্ছিষ্ট হয়ে পড়ে থাকবো
মানবিক জাহান্নামের আগ্নেয়গিরি আতিথিয়তায়!