আমার ভাগ্যের চাকা তো ঘোরে না পাথরের নিচের কপাল সে তো ফেরে না।বেকারত্ব সে তো চির অনাকাঙ্খিত তবু কেন হয না দূর? আমি বলি ওরে পাপ অভিপাশ যা দূরে সরে ওই ব্যাটা আমাকে আরো জোরে ঝাপটে ধরে।হায়রে হায় খুঁজে পাই না উপায়।শৈশব কৈশর পেরিয়ে যৌবনের ঘাটে জীবনের নাউ ভিরিয়ে!পড়েছি আমি বিপদে!চলতে পারি না আজো সপদে!মা বলে খোঁকা আর কত ?আমি বুঝেও না বুঝার ভান করি কি ব্যাপার মা বলতো? বাবারে আজ দুই যুগ ধরে এক হাতের রান্না খেতে নিজের কাপড় নিজে ধুতে ধুতে আমি আজ মহা বিরক্ত ত্যাক্ত!আমি সব বুঝি মা কিন্তু কি করবো বল না?আমি অত শত বুঝি আমায় কাজের লোক এনে দে! লালটুকটুকে মেহেদীতে রাঙ্গা যার হাত যে সংসারে এলে মিটবে আমার ছেলের বউকে দেখার সাধ!আমি বলি মা তুমি কি পাগলী হলে ?মা হেসে বলে শোন পাগল ছেলে কি বলে? ছেলে বড় হলে সংসারে আসে নতুন বউ আমার আবদার অন্যায় বলুক তো দেখি কেউ! আহা আমি তো অন্যায় বলি নি!কিন্তু একবার কি ভেবে দেখেছো আমার নিজের রোজগারের টাকায় একদিনও যে পথ চলি নি! চুল কাটার পয়সা, মোবাইলের খরচ যে বাবার কাছে চাইতে হয় রোজ রোজ! তা কি তুমি লক্ষ্য করনি ওগো মা জননী! আমি যে বেকার হাত পা সবি আছে তবু নেই যে আকার আমি যে বেকার!তবু মা করে অবদার!খোকা রে রোগা ক্রান্ত দেহ আমার বাবা ক্লান্ত মন কখন যে কি হয়ে যায় যখন তখন! একটু ভেবে দেখ না বাবা যদি কিছু করা যায় ঘটকে বললে সে হয়তো আজি করবে উপায়!ওহ ধ্যাত মা তুমি যে কি বল না! এ যুগের ললনা কত ভয়ংকর তুমি জানো না ওদের দামি দামি শাড়ি চাই ফ্ল্যাট বাড়ী চাই গাড়ি চাই কোথা থেকে আসবে এসব বল না উপায়!ওদের ওদের শুধু চাই আর চাই দামী গহনা পেলে স্বামীর দরকার নেই!পতিব্রত বাঙ্গালী নারী আমার বন্ধু কবি সুজনের মতো আমিও যে নিত্য খুঁজে ফিরি! মা তুমি কিছু মনে করো না আমায় একটু একা থাকতে বেশি জ্বালিয়ো না যদি ছেলেকে অকালে হারাতে না চাও!হতাশ হয়ে বিষন্ন মনে মা নিজের ঘরে ফিরে! তারপর আমি বসে ভাবি রাজ্যের র্দূরভাবনা দিন গড়িয়ে রাত ফুরায় তবু এ ভাবনার শেষ হয় না।কল্পনা আর বাস্তবতার বিস্তর ফারাক মায়ের অনুরোধে ছিল সমাজ বাস্তবতার হাকডাক।কিন্তু আমি যে বেকার বিয়ের বাজারে বড় কম দামী।
কবিতাটি ২৮৪ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের সময়: ২০/০১/২০১৪, ২৩:১০ মি: