তোমাকে ঘিরে ছিল দুংখ
ছিল কিছু ডোরাকাটা দাগ,
সে দাগ আঁচড় কেটে ছিল হৃদয় দেয়ালে-
এলোমেলো বিস্তীর্ণ প্রান্তরে;
যে দাগ ধরা দিল সিন্ধুভৈরবী রুপে!
সে অব্দি তোমাতে জমে গেল একরাশ অভিমান।


বেহালা বাজাতে জানলে মন্দ হতো'না
কারণ: সেই বুঝে রক্তকণা, ডোরাকাটা দাগ,
আঁচড় কাটা, কুঁচি কুঁচি ছেড়া পাপড়ি,
লক্ষ লক্ষ সরু আলপিনে পোড়া হৃদয়ের কত জ্বালা;
কত ক্রন্দন, কত কল্পনা, জল্পনা, আবেগ-অনুভূতি
না পাওয়ার বেদনা কত বেমানান।


আজো তোমাকে ভেবে প্রচন্ড রাগে  কবিতা লিখতে বসি,
পারি না।
আজো কেন তোমায় ভেবে দেহঙ্গ সমশ্বরে কেদে যায়,
আজো তোমাতে ভেবে নিম্নাঙ্গ ঠুলি বেয়ে
ঝরণার জল গড়াই।
তোমায় দেখাবে বলে স্বপ্নেরা ধোকা দিয়ে
আকাশের সাত রঙে-ধূসর মেঘে গা ভাসায়!
ভালোবাসা যাকে ভর করে চেটেপুটে খাঁই
আক্ষেপ তবু গেল না দেখার
দেহে থাকিতে প্রাণ,
আজো তাহা রয়ে গেল
ছিল যত উদাসীনতা, ভীমরতি-অভিমান।