কষ্টে আছি 'মা' আমি
ছাড়িয়া গৃহ তোরে,
মধ্যাহ্নে খায় ঐ-দুয়ে নায়
ওপারে যাবোই কদিন পরে।

রাত দুপুরে ফিরলে বাড়ি
বাবার ভয়ে কাপতে তুমি,
শাশিয়া কহিতে মোরে আয় বোকা
ভাত দিচ্ছি আমি।


প্রত্যহ সকালে ডাকিয়া কহিতে
খোকা ফেলিয়া কাঁথা ওঠ,
টেবিলেতে নাস্তা আছে
সাথে আছে দুধ।

কোথায় আমি হারিয়ে ফেলেছি
সুখের সেদিন আজ,
দুংখ কষ্টের মাঝে 'মা'
কন্ঠে পড়েছে ভাঁজ।

ঠিক মত 'মা' খেতে না পেরে
মুখে পড়েছে তালা,
তোমার হাতের রান্না খেলে 'মা'
মুছে যায় দুনিয়ার সব জ্বালা।

বহুদিন আমি দেখিনা  তোমায়
ইচ্ছে করে ছুটে যেতাম,
তুমি বিনা 'মা' রজনী পোহাই না
পাখি হলে উড়াল দিতাম।

তোমার ছেলে বন্দি 'মা' আজ
বাগান বাড়ির জেলে,
দু- মুঠো ডাল-ভাত দেয় ওরা
যোহর ঘনিয়ে এলে।

সারাদিন 'মা' খাটিয়ে নেয়
শিকল পরিয়ে গায়,
এমন করে বল 'মা' আমি
কেমনে দিন কাটাই।

তোমার ছেলে বন্দি 'মা' আজ
চার দেয়ালের মাঝে,
কষ্টের মাঝে বেছে আছি 'মা'
লাগছে না আজ লোক সমাজের কাজে।

কেন আমি আজ এত ঘৃনিত
আদর্শ পিতার ছেলে,
আজ- কাল কেউ দেখতে আসেনা
বাগান বাড়ির জেলে।

এমন কিছুই' ত করিনি আমি
লোকে মন্দ বলে,
জেলে আছি তবু ভাগ্যের লিখন
খন্ডানো যায়না বলে।

সত্যের পথে চললে কি 'মা'
এমনি দশা মেলে,
অপরাধীরা বাইরে থাকে
প্রতিবাদীরাই জেলে।।