প্রিয়তি, তোমার জন্যে জায়গা ছিল
হৃদয়ের সবটুকু স্থান জুড়ে,
অথচ দেখো, হৃদপিন্ডটুকু এখন
সবটা ভরে যাচ্ছে বেদনার উদবাস্তুতে।
হৃদপিন্ডের প্রতিটি কম্পন
তোমার নামে কেঁপে উঠত,
অথচ এখন পুরো শরীরটাকে
জ্বালিয়ে দেয় প্রতিটা কম্পনের সাথে তাল মিলিয়ে।
কে জানে, হয়তবা নিজের ভুল শুধরাচ্ছে বার বার।
প্রিয়তি, তোমার জন্য বসে ছিলাম
সেই সকাল থেকে দুপুর,
দুপুর থেকে বিকেল,
বিকেল থেকে রাত।
গোলাপের কাঁটায় হাত রেখে
বসেছিলাম একা, হাজার অভিমানে,
অথচ দেখো, তোমার জন্যে এখন
আর কোন অভিমান বেঁচে নেই।
নেই আলাদা কোনো
সকাল, বিকেল কিংবা রাত।
হয়ত সময়টা অনেক বেশি
দামি হয়ে গেছে তোমার চেয়েও।
কে জানে, হয়তবা নিজের ভুল শুধরাচ্ছে বার বার।
প্রিয়তি, তোমার জন্যে জমানো
ভালবাসাগুলো বিক্রি করে দিয়েছি,
বিক্রি করে দিয়েছি আমার সময়,
আত্মাটাও বিক্রি করে দিয়েছি,
বিক্রি করেছি কিছু মুখোশের বিনিময়ে,
এক মৎস্যবৃদ্ধার কাছে।
হরেক রকমের মুখোশ নিয়েছি,
ভাল থাকার মুখোশ,
খারাপ থাকার মুখোশ,
মিথ্যে বলার মুখোশ,
সত্য বলার মুখোশ,
আরও কত রকমের মুখোশ।
প্রিয়তি, আমি এখন ভাল আছি,
তুমি ভালো আছোতো?
২৭ আগস্ট, ২০১৮
সোমবার