তোমার যেথা সাধ,
উড়ে যাও বলাকার পালকে।
বলবো না ফিরে এসো; সুরঞ্জনার মত হৃদয় আমার।
তুমি আজ শরতের গোধূলি লগ্ন, সোনালী সন্ধ্যা।
নব কবির ক্ষণকাল চেয়ে থাকা মৌন কবিতা।
তোমার যেথা সাধ,
চলে যাও খাঁচার পাখির মত মায়া ভুলে।
একটা পালক রেখে যাও ভালবাসার স্মৃতি করে।
আমি চিরহরিৎ বাংলার বুকে-
খুঁজবো তোমায় ভাদ্রের দ্বাদশ জ্যোৎস্না নিশিতে।
দেখব শিশির ভেজা প্রাতে, শিউলী-বকুল তলে,
আর কান্ত পথিকে খুঁজবো তোমায় সমুদ্র ঊর্মি চরে।
তোমার যেথা সাধ,
চলে যাও বহুদূর-দেশে।
আমি হাজার বছর পরও দেখব,
তুমি ভুমিষ্ট শিশুর মত বেঁচে আছো,
আজও আমাদের পৃথিবীতে।
তোমার অফুরাণ স্মৃতি সুগন্ধী মলয় হয়ে
ফোঁটে যামিনীর কুসুম কাননে।
তোমার হাসি ষড়ঋতুর সজিব গন্ধে ভাসে।
নীলিমার বুকে ফোঁটে অজস্র নক্ষত্র।
তোমার যেথা সাধ,
আমাকে একাকী করে ভুলে যাও,
আমি না হয় সবুজ অরণ্য বাংলাকে ভালবেসে বেঁচে
থাকবো, তোমার প্রত্যাবর্তনের পদার্পন পথে।
আমি নিত্য ভোরের আভায় দেখব তোমাকে,
শিশির ভেজা রোদ্রে উজ্জ্বল দূর্বাঘাসে।
বুনো হাঁসের অবাধ সাঁতার,
শাপলা শালুকের লুকোচুরিতে।