আহত পাখির মত, রক্তাক্ত শরীর
বিহঙ্গ-বিরহ আঁধার।।
বক্ষ ছেঁদে, মিসাইলের মত হানাদার
আলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ-বিভীষিকার।।
আমি স্তব্দ, বৃক্ষের মত
আমি বিরুদ্ধে, জালেম যত
আমি শিশুদের কাছে, স্বপ্নের মত!
আমি মানুষ, মানুষের চক্ষু জলে
বেদনার কাছে, আমিও কাঁদি।
আমি রক্ত চাই না, মৃত্যু চাই না,
আমি শান্তি চাই, জান্নাতের মত।
সিরিয়ার উড়ন্ত পক্ষি রক্তাক্ত-বিস্ফোরণে
নির্মম আঁধার রক্তাক্ত শরীর, ক্ষত-বিক্ষত
আধ মানবির আলামত, হিংস্র রূপ বর্ণিত।
ওরা মানুষ নহে?
ওরা জালেম, দুষ্কর
ওরা বিবর্ধন হিটলার
ওরা শিশুদের চোখে তাকায়না
মুখ, মস্তক, অঙ্গ অঙ্গ অনল
অমানবিক, কালো হাত-প্রলয়।
ওরা মানুষ নহে,
ওরা জালেম, পঙ্গপাল,ধ্বংসকারী,
মানুষ, মানুষের খতমকারী।
ওরা মানুষ নহে
যারা জীবন নিয়ে করে হেলা
হাসতে-হাসতে শত-শত শরীর
পুড়িয়ে দেয়-এটম বিস্ফোরণে
ওরা মানুষ নহে।
যুদ্ধ চার দিক যুদ্ধ, ভীতিপ্রদ মানুষ
টিএসসির রাস্তা রক্তাক্ত ফানুস
অন্ধকারে জলকামানের দানুস
রাবার বুলেট শরীরের মাংস কামড়ে-
বিষাক্ত করে দেওয়া লাঠির দিক্কার।
যুদ্ধ,- ৫২,৭১, স্বাধীনতা
মুজিব হত্যা, রুহুল আমিন, ৩০লক্ষ শহিদ
পথে-পথে, মুখে-মুখে ডাসবিনের খাবার,
-এটা স্বাধীনতা?
যারা দেশের জন্য রক্ত দিয়েছে-প্রাণ
তারা এখনও স্বাধীনতা খোঁজে
তারা এখনও যুদ্ধ করে নিজের সাথে
তারা এখনও চোষনদের কারাগারে বন্ধী–
মুখামুখি যুদ্ধ।
হাজার-হাজার রুহুল আমিনের
পরিবারের মত-
না খেয়ে আছে-মাটি কামড়ে।
ওরাই যুদ্ধা, বীর যুদ্ধা
ওরাই সংগ্রাম-সংগ্রামী
ওরাই বাংলার, বাংলার, বাংলার
ওরাই বীরশ্রেষ্ট, ৭১, স্বাধীনতার।
কান্না আসেনা, শুঁকিয়ে মরুভূমি
কান্না দেখেনা,-চক্ষুদ্বয়ে
কান্নার রং ধূসর
চোখের ভিতরে চোখ
জলের ভিতরে জল
দেখতে হলে মানুষ হতে হবে
আলোর ভিতরে ঢুকতে হবে
স্বাধীনতা খুঁজে শত-শত বার
দালালের রঙ মাখানো শহরে নয়!
নিজেকে খোঁজতে হবে-
চাষার ক্ষেতে, রাখালী গানে
বৃদ্ধ বাবার চোখে, বিধ্বস্ত মনে
মায়ের বিসর্জিত স্বপ্ন, ঘুম ভাঙ্গা ধ্যানে।
স্বাধীনতা উড়ে আকাশে-বাতাসে
স্বাধীনতা আমার-তোমার চক্ষে-বক্ষে
স্বাধীনতা হাতের মুঠোয়
স্বাধীনতা মা-বাবার আশীর্বাদ
স্বাধীনতা দুর্নীতি, জুলুম, ভুলে-ভালোবাসা।
আমি-আমার ভিতর স্বাধীন হতে চাই
বাংলা আমার, আমি বাংলার হতে চাই
স্বাধীন হতে চাই আমি ও বাংলা
বন্ধী কারাগার থেকে মুক্তি চাই
মুক্তি চাই, মুক্ত চাই, মুক্তি চাই-রক্তাক্ত মন থেকে।