দেখরে বাবা, কত বড়, গোঁফ রেখেছে-
পাগলা বাবা,
চুল রেখেছে বাবরি কাটা
ওরে বাবা- পাগলা দাবা,
সব পোলাপান পালা,
গায়ে পোশাক ছেঁড়া ফুঁটা
কবজ গলার মালা
ওরে বাবা,
এতো দেখি পাগলা বাবা ।
রাস্তা দিয়ে হাঁটছে বাবা
উদাস-উদাস মন
মিনমিনিয়ে কি যেন সব, বলছে আবলতাবল
পেটে খাবার একটুও নাই, কিছু খাবার দে-
ওরে বাবা,
এতো দেখি পাগলা বাবা
সব পোলাপান পালা ।
গাঁয়ে-গাঁয়ে ঘুরছে বাবা
পথে-পথে হাঁটে
চুপি-চুপি হাঁটছে পাগলা
কথা নাহি মুখে
নিজের মনে-মন মিশিয়ে
যায় চলে যায় হেটে,
ওরে পাগলা বাবা-
সব পোলাপান পালা ।
ঘর-বাড়ি তার কোথায় আছে
কেহু জানে না কিছু
পাগলা বাবা ঘুরছে দেখ
কাকের পিছু-পিছু ।
কাক তাড়ায় সে মনের সুখে
দুপুর রোদ্র মেখে ,
পাগলা বাবা চোখ ভুজিয়ে
ধ্যান করছে শুয়ে ।
রাত্রি বেলা হারিয়ে যায়
দেখা মিলে না গাঁয়ে ।
ওরে বাবা, এতো বড় পাগলা
পীর নাকি কালা ?
না হয় সে কোথায় যাবে
রাত্রি নাহি খোঁজ
সে কি ফকির বাবা ?
ওরে, সে তো পাগলা বাবা ।
এক দি সে স্বচ্ছ পোশাক
পড়ে আসলেন গাঁয়ে-
গাঁয়ের মানুষ বলছে স্যার- বসেন চেয়ারে
ওরে, গ্রাম বাসি আমি পাগলা বাবা !
আমি নাহি পাগলা ছিলাম,
ছিলাম অনুসন্ধানী !
খুনির খোজে এ গাঁয়েতে পাগল হয়ে এসেছি
তোমাদের মাঝে পাগলা বাবা
ফকির বাবা সেজেছি ।