।।।।।।।।।,।।।।।।।।।।।।।।,।।।।।।।।।।
. আসছে প্রভাত, গাইছে গান
বাঙ্গালির সন্তান
নাই কিরে ভয়, নাই কিরে ক্ষয়?
আনছে বাঙ্গালির জয়।
কখনও রাজ পথে, কখনও গ্রাম গঞ্জে
ছুটছে বুলেটের শব্দ, নাই কিরে নিস্তব্দ?
কখনও আধারে, কখনও আলোতে
গাইছে প্রভাতের গান
চলছে মুক্তির সংগ্রাম।
যত আসুক রাজাকার, আলবদর, আলশামছ
নাই ভয়, নাই ক্ষয়
বাঙালি সৈনা হিম্মৎ
নির্দয়।
যত দিন দেহে আছে প্রাণ
বাঙ্গালি—বাংলার
নাই কোন পরাজয়
জয় বাংলা, বাঙ্গালির জয়।
মোরা বাংলা ভাষাকে কেড়ে নিতে দিবো না
গড়ুক যত রাজাকার বাহিনী
দিয়ে দিবো অনেক প্রাণ
রাজ পথে গাইছে প্রভাতের গান।
সোনালি ফসল আর সোনার মাঠ
কেমনে ছাড়ি এই সোনার দেশ,
হয়ে যাক এদেশ বাংলার খণ্ড,
আসুক যত দণ্ড।
ঘাস ভেজা কুহেলীর কণা
তাদের উপরও আসে বুলেটের হানা।
গুড়ুম গুড়ুম শব্দে মায়ের খোকাকে নিয়েছে কেড়ে
তবুও কেড়ে নিতে পারেনি বাংলা
মাতৃ ভাষা।
দু’চোখ ভরা কান্না হাহাকার কান্না
মায়ের পড়নে রক্ত ভেজা জামা
ছোট খোকার বুক বুলেটে ঝাঁঝরা
খুকির চোখে স্বপ্ন হীন আশা
বাবার হাতে কাটতে ধান
খুনে লাল ক্ষেত, নদী, আকাশ,
বুকে জড়ানো বাতাস।
তবুও থামেনি পা
টিগার টিপল
প্রতিশোধের পালা,
চোখ ধূসর কালো, তবুও ঝলমল।
জীবনের বিনিময়
বাংলাকে করিব জয়,
মোরা বাংলার বাঙালি,
জয় বাংলা, জয় জননী।
দাঁড়াবার নাই সময়
তবুও দাঁড়াতে হয়,
মা বলার নাই সময়,
ভাষার যুদ্ধে ছুটতে হয়।
কেহ দিতে হয়েছে যুদ্ধে জান
কেহ জুড়াইয়াছে মায়ের প্রাণ।
কেহ দেখেনি ছেলের মুখ
কেহ চুমু দিয়েছে ছেলের বুক।
কেহ বোবা চিৎকারে হাহাকার,
ছেলে কি মোর বাড়ি ফিরবেনি,
এই তো মায়ের করুণ বুলি।
হে মা, এই তো আসছে প্রভাত_
গাইছে গান
বাঙ্গালির শ্রেষ্ট সন্তান
হাতে লাল–সবুজ পতাকা
কপালে মানচিত্রের তিলক হায়
জয় বাংলা, জয় জননী
মুক্তি যুদ্ধের জয়ের বাণী।