তিন নাম্বার ব্রিজে কত বিকেল পার করেছি
আজ কেমন যেনো অন্য সব বিকেল থেকে আলাদা
কেউ নেই আমি আর একাকিত্ব
সূর্যটা পশ্চিম আকাশে হেলে যাচ্ছে সন্ধ্যার বিছানায়।
আগে প্রায় কেউ না কেউ আড্ডায় শামিল হতো
ফোন করলে, এইতো আসতেছি খালপাড়ে দাড়া।
মামার টং দোকানে রঙ চা আর বিড়ি
বেশ আড্ডা জমানো বিকেল গুলো শুধু গত।
আজ আমি বসে বসে ভাবলুম, আমি-আমরা একা
বিষন্নতার এপাড়ে শুধু দৃশ্য ভান
চোখে তালা আঁটকে দিলে সব অনুভব করা যায়
কিন্তু মনে তালা ঝুললে সবই অন্ধকার।
ধুলোয় মাখামাখি কুকুর গুলো চুপ করে শুয়ে আছে
এক নজরে তাকিয়ে থাকে, কি যেনো ভাবছে
খাবার, নাকি সংসার, নাকি চাকরি
নিজে নিজে হেসে উঠলাম কি যা তা ভাবছি
একা থাকলে যা হয় আর কি।
কাউকে ফোন করিনি কেউ আসেও নি
যোগাযোগ নেই, বিচ্ছিন্ন সকল সংযোগ
সবাই সবার কাজে ব্যস্ত, আমিও কম কিসে
গত হয়ে ফিরে আসে প্রতিটি বিকেল।
আজ তিন নং ব্রিজে—আমি
একটি রিক্সা, দুজন ক্যামেরা মেন, চালক,
একটি কুকুর, দুটি ছেলে, এক জন মহিলা
আমাদের আশে পাশের বিল্ডিং থেকে অনেকে
বিকেল দেখছে, না হয় খালের পঁচা পানি,
নয়তো দুজন ক্যামেরা মেনকে, হয়তো ক্যামেরা!
আমি নিশ্চিত আমাকে আর কুকুরটিকে
কেউ দেখছে না, কারণ আমরা দু'জনই প্রকৃতি।
ভুলে গিয়েছিলাম নিশপাপ কাক গুলোর কথা
ঢিস আর নেটের তারের মধ্যে বসে ছিলো
এক ঝাক তরুণ-তরুণী বিউটি কাক
শব্দহীন থাকতে পারেনি বেয়াদব কাকগুলো
তবুও কেনো যেনো ভুলে গিয়েছিলাম?
হয়তো আমি তখন কুকুর নিয়ে ভাবছিলুম!