এখন আর আগের মত শরীরে জোর পাইনা
বাধ্যক্যের দীর্ঘশ্বাসে স্বচ্ছলতা হারিয়ে পেলেছি,
নরম স্বর, চোখের ভাষা বিলীন প্রায়,
মন দুর্বল, শরীরের চামড়া রুক্ষ-শুষ্ক,
প্রকৃতির সাথে মিশা বড়ই কষ্ট সাধ্য_
অভিমানে অবাধ্য।
আঠারের দ্বারে স্বপ্ন গুলো অনন্য।
আবার যেতে চাই যৌবনার সিংহাসনে,
রক্ত তেজি, ফানুস উড়াবার সনে,
আবার জেগে উঠতে চাই, দুরন্ত ছেলেটির চোখে,
সবুজের গাঁয়ে হলুদ পাখিটি সেজে,
ঘুড়ি উড়াতে চাই; ধুলিবালি মেখে গায়ে।
আমি আবার আঠারো হতে চাই আঠারো
শত-শত বার জন্ম নিতে চাই আঠারোতে।
আকাশে তাকিয়ে জীবনের কথা ভাবি
চোখের জল গুলি বৃষ্টির সাথে মিশে যায়,
বৃষ্টিও জানে জমানো কষ্টের কথা
অপ্রকাশিত থাকুক মানুষের সম্মুখ্যে।
সামান্য হাসি সূর্য বরণ করে নিয়েছে
কষ্ট গুলোকে রোদ্দুরে শুকিয়ে।
এখন আর আগের মত হাসতে পারিনা
কান্নার চেষ্টাও করিনা,
অন্যের কষ্ট দেখে-
চোখে জমেছে সাতশো কোটি সমুদ্র,
আমার কষ্ট গুলো অজানাই থাকুক_
বৃক্ষের মত।
মাঝে মাঝে মনে স্বাদ জাগে, অবুজ শিশু হতে
মায়ের নরম কোলে আদরের স্বাদ নিতে,
মাটিতে গড়াগড়ি দিতে,
কাঁদতে-কাঁদতে হটাৎ হেসে দিতে!
সবার আদর গালে লেগে থাকবে দিন শেষে।
রাতে মায়ের মুখে রাজ পুত্রের,
রূপকথার গল্প শুনতে-শুনতে
ঘুমিয়ে পড়বো অসময়ে।
বয়স মাত্র ষাট!
গায়ে রঙ মেখে, সং সেজে
আবার যেতে চাই আঠারের দ্বারে।
সত্যি; আজ বাধ্যক্যের স্বপ্ন গুলি ভীষণ এলোমেলো
সারা রাত জাগিয়ে রাখে;
ইদানীং জান্নাত-জাহান্নাম দেখি
কখনও কখনও কফিনে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখি-
লাশের সাজে।
কেহ আমার কথা শুনেনা
কেহ আমার কথা বুঝেনা
আমি আজ; মৃত্যুর কাছাকাছি,
বার্ধক্যের দীর্ঘশ্বাসে মরণের গন্ধ,
মৃত্যু আমায় ডাকে, একা ভীষণ একা।