রচনা, মোহাম্মদপুর-ঢাকা
যাঁহারা আমারে নিয়ে করিয়াছে ভাগাভাগি
তাঁহাদের মাঝে আমার বিশ্বাস নাহি রচি।
আমারও মাঝে মাখে বিষন্নতা
কেউ কি আমারে দেখিয়াছে দু'নয়ন ভরিয়া?
মায়ার নক্ষত্র দেখিয়া।
আমি ঝরিয়া পড়িবো শুকনো পাতার মত
মাটিতে নয়ন রাখিয়া কুড়াইবে যাঁহারা অন্তরে_
তাঁহাদের মন নরম ঘাসের মত
সবুজ রঙের মত, হলুদ পাখির মত।
আমারে ভুলিয়া যাঁহারা নয়ন রেখেছে অন্য ঘরে
তাঁহারা শিউলি ফুল ফেলে দেয়, নয়ন ফিরিয়ে
তাঁহাদের মাঝে আমি অবহেলিত, নক্ষত্র দূরে
নিঃসঙ্গ পেঁচার মত, বটবৃক্ষের কোনো ঢালে শুয়ে।
আমি গ্রাম হয়ে রয়েছি গ্রামের মাঝে
ফুল, পাখি, ঘাস, পেঁচা, বৃক্ষ, প্রেমিক হয়ে।
আমারে যাঁহারা ভাগাভাগি করিয়া নেয় হাজারি_
তাল গাছের মত, নারিকেল, আম গাছের মত করে,
আমি তাঁহাদের মাঝে বিশ্বাস নাহি রচি
আমি বাতাসে মিশে আছি সবার মাঝে
যাঁহারা বকুল ফুল ভালোবাসে, আমাকেও
নক্ষত্রের, আকাশের, বৃষ্টির, চাঁদের মাঝে
আমি সারা জীবন বাঁচিয়া রইবো, গ্রাম্য রূপে।