জীবনটা এক আজব খেলা ঘর
যে সুর বাঁধে আপন মনে
বাঁধিছে ঘর আপন সনে
বুঝাইলি সাঁই জটিল হিসেবে
একে একে হইলো শূণ্য
বুঝেও বুঝলিনা মনা
কেহ সুখ পায় দিয়ে যাতন
ছিন্ন করে জীবনে-রো ধন
আসল নকল করতে যাঁচাই
হারাবি-রে দিক
পাখি ছাড়বে খাঁচা
কান্দে কেহ আপন ঘোরে
গুরু কন্ঠ রক্ত করে
আপন মন পাইলে ফেরত
যাচিত সে জলে
গুরু বলে দিসনে-রে মন
যে মনরে দিয়া মনরে খেলে
জীবনটা মস্ত বড়
স্বপনের খেলা ঘর
কেহ বাধে আপন সুখে
নয়নের জল যায় বিফলে
চিৎকারে সে কয়-রে মনা
ভাঙ্গিস নারে আপন নীড়ে
গুরু কহে, কান্দিস না মনা
যে জন তোর আপন জনা
যদি গো সে চিনতো তোরে
রাত পোহালেই ফিরত ঘরে
মনা বলে শোন গো গুরু
যাতনা তো সবে এই তো শুরু
রাত পোহালে ভোরের কোলে
যদি গো পাখি দেহ খাচা শূণ্য করে
উড়াল দেয় চির নির্বাসনে
কি লাভ আর তারে ডেকে
জীবনের এই রঙিন ভেলায়
আঁকুক স্বপন মনের খাতায়
দূর আকাশের তারা হয়ে
দেখবো না হয় আমি চেয়ে
জীবনটা সত্যিরে এক আজব খেলা ঘর