পাখি ডাকে দেখো,শিমুল গাছের ডালে
তার ধারে সরু মমতা মাখানো পথ
সোনা মুড়িয়ে রেখেছি সকল স্মৃতি
স্নিগ্ধ নদী আকুল করে প্রাণ।
আমাদের খেলা, আমাদের লুটোপুটি
মেঠ পথ ছেড়ে আল পথে ছোটাছুটি,
আমাদের ভাব আমাদের যত আড়ি
দিগন্তে মিশে হয়ে যায় একাকার।
গ্রীষ্ম শেষে বর্ষা যখন শুরু
আকাশ তখন কাঁপছে দুরুদুরু,
এ পারের মাঝি ও পাড়ে ছাড়িছে হাক,
এই বুঝি হয় আকাশ ভাঙার শুরু!
আযানের স্বর সকাল হলো শুরু
আযানের পর, আর কেউ নেই ঘুমে
মাঠের ছেলেরা হাটিছে মাঠের পথে,
স্বাগত জানায় পাখিরা তাদের ডেকে।
শরতের নদী আমাদের খেয়া ছোটে
দুই ধারে তার কত কাশফুলে জোটে,
শূণ্য মাঠে রাখাল বনে গিয়ে
ধুলো নয় আমি মমতা মাখি যে গায়ে।
থেমে যায় সব পাখিদের কোলাহল
ক্লান্ত এ দেহ হয়ে আসে নিশ্চল।
প্রজাপতি এসে ফিরে যায় ঘাস ফুলে
মনের গভীরে কল্পনা ওঠে দুলে,
তুমি আর আমি আকাশের সীমানায়,
ডানা মেলেছি উড়ে যাবো অজানায়।
কতো কাল যাবে সময়ের স্রোতে কেটে
কতো পাড়ি দেবো সময়ের পথে হেটে
আমার স্বর্গ ফিরে আর পাবো না।
# কাল্পনিক