এক ঘর, এক মলিন জানালা,
এক কোণে বসে আছে ভাঙা এক ঘড়ির ছায়া।
নীরব কাঁটা থেমে গেছে গতকালের ভারে,
সময় যেন আটকে গেছে পুরনো স্মৃতির দ্বারে।
তোমার দেওয়া মুহূর্তের স্পর্শে বাঁধা,
ভাঙা সে ঘড়ির কাঁচে জমে আছে সেগুলোকে বাঁচা।
প্রতিটি ক্ষণ, প্রতিটি দম নিঃশেষিত,
তোমার স্মৃতির ভাঁজে তারা অমলিন রচিত।
তুমি যখন ফিরে গেলে সময়ের কোলে,
ঘড়ি থেমে গেলো, ভেঙে পড়লো পুরো দেহ।
কাঁটার প্রতিটি শূন্যতায় লেখা রয়ে গেলো,
তোমার হাসি, তোমার কান্না—সব একসাথে মিশে গেলো।
আজো বসে দেখি সে নীরব যন্ত্রণা,
ঘড়ির প্রতি দাগ যেন স্মৃতির খেলা।
প্রতিটি ছেদ, প্রতিটি ভাঁজের উপখ্যান,
তোমার জীবন যেন লেখা তাতে চিরন্তন।
আমি কি তোমায় ভুলতে পারি? কখনো না,
এই ঘড়ি আমায় স্মরণ করায় সেই সুখের দোলা।
তোমার হাত ধরে যখন দেখেছি ভবিষ্যৎ,
সেই মুহূর্ত থেমে গেছে এ ফ্রেমে বদ্ধ।
দিন যায়, রাত নামে ঘরের এক কোণে,
তবু ঘড়ি বলে না কোনো নতুন স্বরে।
তার প্রতিটি নীরবতায় বাজে এক গান,
তোমার স্মৃতির মায়ায় হারিয়ে যাই তাতে প্রাণ।
এ কি কেবল এক ঘড়ির গল্প? না,
এ গল্প সময়ের চিহ্নে গাঁথা ভালোবাসার অনুভব।
আমার হৃদয়ে প্রতিধ্বনিত হয় সেই দৃষ্টি,
যা একদিন ভাঙা ঘড়ির আকাশে দিয়েছিলো স্থিতি।
তুমি কি ফিরে আসবে, সময় আবার চলবে?
ঘড়ির কাঁটা হয়তো সুরেলা পথে খুলবে।
কিন্তু তুমি না এলেও, স্মৃতির ছায়া,
থাকবে এ ঘড়ির মাঝে, মনের অতল প্রান্তে বাঁধা।
ভাঙা ঘড়ির কাঁটা থেমে গেলে যা বলে,
তোমার নাম ছুঁয়ে বয়ে চলে নীরব কাহিনির মেলে।
প্রতি মুহূর্তে এ অনুভূতির যন্ত্রণা কাঁদায়,
তোমার ভালোবাসা হৃদয়খণ্ডে চিরকাল চমকায়।