ভাঙা চালার নিচে বসে, রাত গুনে জেগে থাকা,
একলা চাঁদ জানে কেবল — কত স্বপ্ন ভাঙে তারা।
মাটির কুড়েঘর, দেয়ালে ফাটল,
তবুও মানুষ বাঁচে ভালোবেসে, তবুও পাথর ঘাটল।
এই ঘরের কোনে কোনে —
ভাতের হাঁড়ি ফাঁকা পড়ে,
তবু মায়ের মুখের হাসি —
রোজকার সূর্যোদয় গড়ে।
ছোট্ট একটা খাটিয়া আছে,
নড়ে উঠলেই কেঁপে ওঠে,
পথের ধারে শুয়ে থাকা —
ভাঙা চালায় বৃষ্টি পোড়ে।
হাসি-কান্না মিশে থাকে —
আলোর সাথে অন্ধকার,
জীবনের এই রঙিন ছবি —
কে বলে সাদা-কালো সার?
ভাঙা চালায় রাত পোহায় —
হৃদয় গড়ে ইট পাথরে,
ভাঙা চালায় চোখ বুজে যায় —
শান্তি খুঁজে স্বপ্ন ঘরে।
মাটির ঘ্রাণ, খড়ের বিছানা —
জীবন যে এক গান;
ভাঙা চালা জানে বেশি —
সুখ মানে নিরব কান্না।
মানবতা বাঁচে এখানে —
ভাঙা জানালার আলোয়,
এক টুকরো ভালোবাসা —
হৃদয়ের অন্ধকার ঢাকে।
জন্ম নেয় গল্প হাজার —
ভাঙা চালার পাতায় পাতায়,
কে জানে সে গল্প শুধু —
মানুষ হয়ে বাঁচতে চায়।
হয়ত রাজপ্রাসাদ ঝলমলে —
নেই সেখানে প্রাণের টান,
ভাঙা চালার কুঁড়ে ঘরে —
গড়ে তোলে সত্যি মান।
ভাঙা চালার আকাশ পানে —
চেয়ে রই আমি কবি,
সেই ঘরের প্রেম-ভরা মন —
হোক পৃথিবীর ছবি।