নদীর ধারে, মাঠের কোণে, শ্যামল তৃণলতা,
জীবনের মতো আঁকড়ে ধরে, মাটির মমতা।
শীর্ণ গায়ে সবুজ রঙে লেপ্টে থাকা প্রাণ,
ধূলির ভিতরেও খুঁজে নেয় বেঁচে থাকার গান।

ঝড়ের দমকে কাঁপে যতই, মুছে না তার আশা,
সূর্যের আলোয় শপথ তার, বাঁচবে ভালোবাসা।
পায়ের নিচে দলিত হলেও, হাসে নীরবে,
সংগ্রামের শক্তি তার, মিশে আছে রোদের সারিতে।

তৃণলতার ভাষা বোঝে, কেবল নদীর ঢেউ,
ঝর্ণার সুরে বাজে তার মন, আকাশের ঢেউ।
বাতাস যখন ছুঁয়ে যায় তার, কেঁপে ওঠে প্রাণ,
মাটির গন্ধে সে বাঁচে, তারই স্নেহে মহান।

শীতের কুয়াশা, বর্ষার ধারায়, যতই আসুক ব্যথা,
তৃণলতার বুকে আছে শত জন্মের কথা।
একদিন সব ফুরিয়ে যাবে, থামবে সময়ের গান,
কিন্তু তারই সবুজ স্মৃতি বাঁচবে চিরকাল।

তুমি যদি একবার ছুঁয়ে দেখো, এই তৃণলতা,
বুঝবে জীবনের মানে, তার অনন্ত ব্যথা।
সে পড়ে থাকে অবহেলায়, তবু হাসে সবুজ হয়ে,
তার কাহিনি চিরকাল রবে, মাটির বুকে রয়ে।।