সৌদামিনী, তুমি কি জানো?
তোমার চোখে ঝড়ে যেন শ্রাবণের গান,
তোমার ঠোঁটে মেশে প্রাচীন কোন স্তব,
যেখানে আকাশ ঘনিয়ে আসে আর সমুদ্র গান গায়।
তুমি এলে, রাত নেমে এলো কালোর চাদরে,
তুমি গেলে, সকালটা সোনালি আগুনে জ্বলে।
আমি সেই কাঙাল, যে তোমার ভিখারি প্রেমের,
তোমার হাত ধরে সারাবিশ্ব ঘোরার এক অলীক স্বপ্নদ্রষ্টা।
তুমি যখন হাসো, আলোর কণা ঝরে,
যেন বৃষ্টির ফোঁটার মতো স্নিগ্ধ সেই ঝরে।
তোমার অভিমান, সে তো এক নীরব ঝড়,
যা বুকে দাগ কেটে যায় কোনো পুরনো ইতিহাসের মতন।
রাগ করো, রাগের জ্বালায় পুড়ি আমি,
তোমার চোখের লাল আগুনে পুড়ে যায় আমার দিন,
তুমি মুখ ফিরিয়ে নিলে, যেন আকাশ কালো,
বাতাস নিস্তব্ধ হয়ে যায়, হৃদয় অবলা।
তুমি বোঝো না?
তোমার নামের মায়া হৃদয়ে বেঁধে রাখে,
‘সৌদামিনী’ — যেন বজ্র, যেন আলো,
তোমার ধ্বনি হলো সেই মন্ত্র, যা আমায় বাঁচিয়ে রাখে।
তোমার খুনসুটি? — আহা! কী অনন্য সেই ভাষা,
যা চায়ের কাপে তুলে দেয় রুপকথার গল্প।
তুমি যখন মজা করো, পৃথিবী থামে,
তোমার হেসে ওঠা সুরে বাঁধা পৃথিবীর ছন্দ।
তোমার হাতের মুঠোতেই লুকিয়ে আমার জগত,
তোমার পায়ের চিহ্নে বসন্তের ফুল ফোটে।
তুমি আমার ঝড়, তুমি আমার বসন্ত,
তোমার প্রেমে খুঁজে পাই জীবন সঙ্গীতের সুর।
কখনো ভেবে দেখো,
আমার চোখে তুমি ঠিক কতটা বড়ো!
তুমি আকাশ নয়, আকাশের ওপার।
তুমি বৃষ্টি নয়, সে বৃষ্টির গান।
তোমার প্রেমের রঙে আমি অন্ধ,
তোমার ছোঁয়ায় ধরা পড়ে জীবন।
তোমার সত্তায় আমি সম্পূর্ণ;
‘সৌদামিনী’, তুমি যে আমার প্রার্থনা।
যদি তুমি একদিন আমাকে ভুলে যাও,
জানো, সেই দিনও আমি তোমার নামেই বাঁচবো।
তোমার স্মৃতিতে ভিজে যাবে এই পৃথিবী,
আর কবিতায় বাঁধা থাকবে শুধু 'সৌদামিনী'।