কবিতাঃ শকুনের দৃষ্টি।
লেখকঃ এস,এইস,মানিক।।।
শকুনের দৃষ্টি সুনিবিড় ক্রোধে,
মেঘের গর্ভে লুকায় যে মোহে।
তার ডানা জুড়ে বিষন্নতার ভাঁজ,
পাহাড়ের চূড়ায় বসে বিষাক্ত সাজ।
চোখের তারা যেন অশান্ত অগ্নি,
ধূসর শূন্যে খুঁজে অমৃত-ভাগিনী।
ধরণীর বুকে সে মৃত্যু-সাধক,
নীরব গাছে বসে শান্তির ধারক।
কুয়াশা চিরে দেখে বিপন্ন গ্রাম,
রুক্ষ বাতাসে তার নিশ্ছিদ্র আহ্বান।
প্রাকৃতির নিয়মে শিকার খোঁজে,
জীবনের ছলে সে মরণের রোজে।
তবু সে কি নিখিল খল নায়ক,
নাকি বিধাতার অনন্ত প্রকল্পে গায়ক?
মৃতের অবশেষ করে সে শুদ্ধি,
প্রকৃতি তারই দিয়েছে অনুমতি।
কেবলই শিকার নয়, সে দায়ভার,
ধরণীর পিঠে মৃতের সংহার।
সমাপ্তিতে তো প্রয়োজনের রূপ,
শকুন তাই যেন প্রকৃতির ধ্রুপদী সূর।
তবু মানুষ দেখে কেবল তার কাল,
অন্ধকার ডানা আর হিংস্র বলকাল।
শকুনের দৃষ্টিতে তবু ছায়া বহে,
জীবনের পরে মৃত্যুর পথে।
তুমি কি তাকে ঘৃণা করবে সার,
নাকি দেখবে প্রকৃতির মৌন প্রকৃতচার?
শকুনের দৃষ্টি আকাশে উড়ে,
জীবনের শেষে মৃত সুরে।