রক্ত দিয়ে গড়ি রাজপথ, ফসল হয় এ মাটির গন্ধ,
স্বদেশ আমার রক্তলাল, এ প্রেম কখনো চায় না ছন্দ।
গর্জে ওঠো বীর সন্তানেরা, হাতের শাণিত শক্তি ধরো,
প্রত্যেক শিকড়ে জ্বালাও আলো, অসত্যকে ছিন্ন করো।
মেঘ আনে শুধু অন্ধকার, বজ্র নিয়ে আসি আমি,
শুনো, এই মাটিতে প্রবাহিত রক্তের তাপে দেখি স্বপ্ন-জ্যামি।
বিজয়ের গান বাজুক প্রাণে, অন্যায় হবে চূর্ণ তাপে,
জ্বলবে দিশি মশাল তাও প্রমাণ করে চলো কাঠিন্যে।
স্বদেশ আমার খুনের বন্যায় পেল না সেথায় সুখ,
এখন সময় এসেছে জাগার, তুলুন সংগ্রামের ধ্বনি মুখ।
জ্বলুক তোমার বুকে বিপ্লবের শিখা, ঝলসাক এই মাটি,
এই রক্ত শপথের সাক্ষী, তুলে দেব মুক্তি পাতি।
শত শত বছরের অত্যাচারের ঘর হোক এক মুহূর্তে ধ্বংস,
হৃদয়ের বুলেট হোক হাতিয়ার, আনো শাসনের প্রতিরোধের সংজ্ঞা।
স্বদেশ আমাদের, তার রক্তলাল ছন্দে আঁকি দৃশ্য,
স্বাধীনতায় ভরবে আকাশ, এ পণ নয় যেন বিচ্ছিন্ন।
প্রতিটি ঘামে, প্রতিটি রক্তবিন্দুতে আছে এ মাটির স্রোত,
জাগো, ভাইবোন, বিদ্রোহ তো আসছে এই শব্দ দিয়ে ওঠ।
আমরা হবো ওই মশাল, স্বাধীনতার উদ্যান রচনা করবো,
আমাদের রক্তলাল স্বদেশ, সেথায় নতুন জীবন ভরবো।