কে তুমি? কিসের পাখির ডাকে গাঁথা নাম?
তোমার পদচারণে শ্যামল মাটি করে হায় প্রণাম।
তুমি কি দূর কোনো রূপকথার স্রোতে ভেসে আসা এক আভাস?
তোমার মায়ায় জাগে মন, ফোটে হৃদয়ের আকাশ।
তোমার কেশ? যেন কালো রাতের তারার নৃত্য।
চোখে জ্বলজ্বলে এক ব্রহ্মাণ্ডের সত্যের সূচি।
তোমার ঠোঁট? তাজা লাল গোলাপের গল্পের ভাষা।
যেখানে ঝরে মধুর ধারা, প্রেমে বেঁধে আনে আশা।
পদ্মাবতী, তুমি কি জানো কী নামের খ্যাতি তুমি বহাও?
তোমার গায় ছোঁয়া লেগে ম্লান চাঁদ আর নক্ষত্র ওঠে গাও।
তোমার হাসিতে বুনা হয় বসন্তের সুর,
তোমার অভিমানে ঝড়ে শীতল এক মেঘের দূর।
তোমার ভুবনজয়ী রূপে বন্দী হলো কত কবির কলম,
তোমার নীল শাড়ির আঁচলে লুকায় মাটির স্নিগ্ধ আলম।
তুমি নদী, তুমি পাথর, তুমি বৃষ্টির স্নিগ্ধ ধারা,
তুমি সময়ের মধ্যে অমর, অনন্ত প্রণয়-ইন্দ্রজাল।
তুমি কি কোনো রাজকন্যা? রাজপ্রাসাদের বিশাল দ্বারে দণ্ডায়মান?
নাকি অরণ্যের দূরে কোথাও বসন্তবরণ গাওয়া নামহীন প্রমাণ?
তোমার পায়ের নূপুরের শব্দে সুরে বাঁধে পথের খেলা,
তোমার আনাচে প্রাণের স্রোতে খোলে নতুন এক মেলা।
পদ্মাবতী, প্রেম মানে তুমি,
প্রাণের স্নিগ্ধতায় বয়ে যাওয়া কোনো মধুমধুর রং।
তোমার বুকে প্রজাপতির ডানায় ভরা জীবন,
তোমার চোখে লেখা এক জ্যোৎস্না-আলো মন।
যদি কখনো তোমার নাম মুছে যায় এই পৃথিবীর দলিল থেকে,
আমার কলমে লেখা থাকবে, যেন কোনো মহাকাব্যের বাঁধন।
তোমাকে ছুঁয়ে লিখতে পারিনি, সে তো রয়ে গেল দুঃখ,
কিন্তু ‘পদ্মাবতী’ — তুমি হলো অমর, এ কবিতায় থাকবে সুখ।