পাড়াতো পথে দাঁড়িয়ে আছে কৃষ্ণচূড়া,
রাঙা শাখায় শোভা তার যেন জীবন ভরা।
মাঠের কোণে তপ্ত দুপুরের ঢেউ,
কৃষ্ণচূড়ার রঙে লাল হয়ে ওঠে ঢেউ।

গ্রামের পথে ছেলেমেয়েরা ছুটে যায়,
ফুল কুড়িয়ে সাজায় স্বপ্নের রায়।
কৃষ্ণচূড়ার নিচে বসে যায় প্রহর,
পাহাড়ের হাওয়ায় বাজে মাটির স্বর।

আষাঢ় এলে মাঠ ঢাকে কাদার শীতে,
কৃষ্ণচূড়ার ফুল পড়ে বৃষ্টির রঙে ভিজতে।
ঝমঝম বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে থাকে চুপ,
কৃষ্ণচূড়া জানে গাঁয়ের আনন্দ কূপ।

গাঁয়ের বুড়ো হাঁটেন সেই পথ ধরে,
কৃষ্ণচূড়ার ছায়া যেন শান্তি করে ভরে।
গাছটা দেখে বলেন, "আমাদেরই সন্তান,
যুগ যুগ ধরে এই মাটি দিয়েছে প্রাণ।"

পাড়াতো কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে ভরা,
ফুলগুলো সাজায় গ্রামের আঁকা চিত্র ধরা।
এর ছায়ায় কত কথা গাঁয়ের বুকে লেগে,
কৃষ্ণচূড়া জানে সব, নীরবে থাকে জেগে।

দিন যায়, রাত নামে, পাল্টে যায় কাল,
কৃষ্ণচূড়া থাকে সেই, অমল শুভ্র কাঙাল।
রাঙা ফুলের ভাষা বয়ে আনে গল্প,
গ্রামের প্রতিটি মনের মধুর হৃৎস্পন্দন কল্প।

তুমি যদি দেখো কোনো দিন পথ ধরে,
এই গাছের ছায়া পাবে আশ্রয়ের ঘরে।
পাড়াতো কৃষ্ণচূড়া জানে মাটি-মায়ের ব্যথা,
তার শাখায় লুকানো গ্রামের মহাকাব্য।