পাণ্ডুলিপি পড়ে রইল বন্ধ কপাটে,
অধরাই রয়ে গেল যে গল্প লেখা হয়েছিল পাতায়।
প্রতিটি অক্ষর, প্রতিটি চিহ্ন বুনেছিল ভালোবাসা,
তবু শেষ হয়নি সে কাহিনি, ভাঙেনি অবরুদ্ধ আশা।

তোমার স্পর্শে উঠেছিল শব্দের জোয়ার,
গল্পে মিশেছিল হৃদয়ের হাজারো অঙ্গার।
তোমার হাতের কলম, তোমার চোখের স্বপ্ন,
তুমি লিখেছিলে প্রেমের নীরব উন্মেষ।

কেন থেমে গেলে? কেন রইল অসম্পূর্ণ?
কথাগুলো যে আজও বয়ে আনে বিরহের বীজতলা!
পাতাগুলো আজও শোনায় নিঃশব্দে,
তোমার উপস্থিতি মিশে গেছে ক্ষয়ে ক্ষয়ে।

পাণ্ডুলিপির গায়ে জমে থাকা ধূলার কণা,
তোমার ছোঁয়া ছুঁয়ে হয়তো হয়ে যাবে সোনা।
তবু এ পাতার ভাঁজে লুকানো শূন্যতা,
খুঁজে পায় না আজও পূর্ণতা।

পাঠকের অপেক্ষা থেমে যায় অর্ধেক পথ,
তুমি যেন এক অপূর্ণ স্বপ্নের প্রমথ।
প্রত্যেকটি লাইন কাঁদায় নীরবে,
অবশেষে হয়ে যায় যন্ত্রণা গোপনে।

পাণ্ডুলিপি জানে, তুমি একদিন ফিরবে,
তোমার কলমে সে গল্প নতুনভাবে রঙিন হবে।
তোমার হাতে যে হারানো ছন্দের গাঁথা,
সে আঁকবে অমলিন জীবনের কথা।

তুমি কি জানো, এই পাতায় বন্দী সুর,
তোমার শ্বাসেই পাবে যেন পুনর্জীবনের ধ্রুপদ।
তুমি যদি কখনো পাশে এসে বসো,
এই পাণ্ডুলিপি তোমার কথায় পূর্ণ হবে হোক।

অপূর্ণ অধ্যায় আর থাকবে না গোপন,
জীবনের সুরে ফিরে পাবে হারানো উপসংহার।
তোমার মুঠো ভর্তি কাব্যের বার্তা,
পুনঃজাগরণে বদলে দেবে সময়ের ধারা।

যদি কখনো পড়ো এই পাণ্ডুলিপি পুনরায়,
জেনে রেখো, এ গল্প চেয়েছে কেবল তোমার ছোঁয়া।
তুমি ফিরে আসলে পূর্ণ হবে এ আখ্যান,
এ হৃদয়ে জ্বলবে এক অমর প্রেমের প্রদীপখান।