কবিতাঃ অন্তর্দৃষ্টি।
লেখকঃ এস,এইস,মানিক

মনের গভীরে গভীর সুর,
শুনে যায় শুধু নিঃশব্দ দূর।
শূন্যতার মাঝে স্বপ্নের গান,
অতল আঁধারে আঁকা ব্যাকুল প্রাণ।

আলোছায়ার দোল, নদীর বিস্মরণ,
প্রত্যেক ঢেউয়ে জাগে মনের পূর্ণতরণ।
চোখ মেলে দেখি না যাহা দেখা যায়,
অন্তর্দৃষ্টির আলোয় তা পথে এসে চায়।

অন্ধকার শেষে ফোটে রোদের হাসি,
অনুভব ভর দেয় নীরব উদাসি।
গভীর নির্জনে মেলে সেই সত্য,
অন্তর্দৃষ্টি জাগে—মুক্তির প্রাপ্ত।

চুপকথা বলে জোছনার রাত,
আকাশে খেলা চাঁদের প্রভাত।
নিভৃত প্রহরে হৃদয়ের ঢেউ,
কল্পনার ভাসা সাগরের বেণু।

অন্তরে জ্বলে আলোর প্রদীপ,
যতিচিহ্নে রাখে সময়ের নীপ।
কোথায় মেলে সেই নীরব ডাকে?
চেতনার ফেলে যাওয়া ছায়ার বাঁকে।

পাহাড়ের ঢালে অচেনা পথে,
নির্জন ফসল পড়ে বসে ক্ষেতে।
মানবের ভীড়ে নেই চিহ্ন কোনো,
অন্তর্দৃষ্টি জাগে—নামহীন যাতনা।

আত্মার ভ্রমণে আসে বিস্মৃতি,
জীবনের মাঝে লুকোনো গীতি।
কাহারা ডাকে দূর হতে আমায়,
স্বপ্নের নদীতে বহে শান্ত ধারায়।

পৃথিবীর ঋণ, তারার চাহনি,
এই জীবনের সুর যেন বহনি।
অন্তর্দৃষ্টি চায় আদি প্রভাতে,
নিবিড় মৌনতায় সেই কথার প্রাতে।

তবু অন্ধকারে জ্বলে স্মৃতির আলো,
তাহারই স্পর্শে পূর্ণ হয় কালো।
মানবের ভিতর মানবতা মরে,
অন্তর্দৃষ্টির চোখ তখন বলে সরে।

শেষ কথা নয়, জাগে চিরকাল,
এই অন্তরাল জুড়ে প্রণয়ের কাল।
অন্তর্দৃষ্টি আসে আকাশের ঝড়ে,
গভীর হৃদয়ে প্রেম ভাসে ঘুরে।