ধানের সুবাসে ভরে যায় ভোরের আকাশ,
সোনার রোদ ঝরে পড়ে মাঠের অলিন্দে।
শ্রমের ঘামে গড়া যে মায়ের মমতা,
সে তো অন্নপূর্ণা, জীবন-আলিন্দে।

তার শাড়ির আঁচলে সূর্য হাসে,
স্নিগ্ধ বাতাসে ধানের ঘ্রাণ ভাসে।
শস্যের কণা তার সোহাগের রেণু,
ভূখার চোখে সে আশার জ্যোতিষ্ক।

নদীর ঢেউ তার চরণে লুটায়,
হেমন্তের কুয়াশা তার কোলে জড়ায়।
হালচাষি বাবা তার নাম কপালে তোলে,
বাতাসও থমকে দাঁড়ায় তার চরণ ধোলে।

আকাশ যতই বর্ষণ নামায়,
মাঠ যতই খরায় পোড়ে,
সে তো তবু হাসতে জানে,
সোনার শীষ তার মুখে ঝরে।

ভাতের হাঁড়িতে সে আগুন জ্বালে,
ক্ষুধার্ত ঠোঁটে হাসি আনে,
সে মা, সে নারী, সে মাটির মূর্তি,
সে তো মানবতার প্রাণের টানে।

তুমি যদি একবার ডাকো তারে,
সে আসবে অন্নের অর্ঘ্য হাতে,
তার হাত ছুঁয়ে দেখবে তুমি,
জীবন কীভাবে থাকে জেগে রাতের রাতে।

অন্নপূর্ণা, মা ধানের কবিতা,
তাকে ভুলো না কোনোদিনও,
সে আকাশ, সে বাতাস, সে জলধারা,
সে বাংলার হৃদয়ের সংগীত রোদ-ছায়ার দিনও।।