কবিতাঃ অবাক জলপান
লেখকঃ এস,এইস,মানিক
---
অবাক চোখে চেয়ে দেখি, স্বপ্নের মতো সন্ধ্যা,
নীরব বাতাস বয়ে আনে নদীর হিমেল গন্ধটা।
জল টলমল কাঁচের কাপে, চাঁদের ঝিলিক ছায়া,
নদীর ঢেউয়ে লেপ্টে আছে কল্পনার এক মায়া।
ছিপছিপে নাও বেয়ে চলে, কে জানে কোন ঠিকানায়,
তার পানে চেয়ে দাড় বালক গান গায় নদীর সুর মেলায়।
মহুয়ার গন্ধে ভরে উঠে, মেঘলা আকাশ মায়ায়,
অবাক চোখে জলপান দেখি, হারাই ক্ষণিক ছায়ায়।
হাত বাড়ালে দূরে সরে যায়, রুপোলি রেখার মত,
অর্ধেক মধু, অর্ধেক তৃষা, জীবন ভাসে স্তব্ধ মঠ।
জলের আঙিনা যেন বাজে সোনার বীণার তারে,
অবাক জলপান শোনায় আমায়, ইতিহাস অক্লান্ত চরিত্রের পাঁড়ে।
নীলাভ জলের কিনারে বসে, দু’চোখ ঢেকে রহি,
ভাবি কি লুকায় অন্ধকারে—কি সেই মন্ত্র যা লহি?
অবাক জলপানে দেখি খেলা, ভাঙা আর গড়ার ভাঙি,
কপাল লেখা কোনো অমলিন রূপ, অসীম পৃথিবীর রাঙি।
তোমার ঐ স্পর্শহীন জলপান কি আমার জন্য সাজানো?
তুমি কি সেই পরম সত্য, যা স্বপ্নে রবে ধরা?
অবাক চোখে বারংবার দেখি, ধ্রুবতারার আলো,
তোমার জলপানের গভীরে লুকায় সব বাধার চালু কৃত্তি।
ওহে অবাক জলপান, তোমায় ঘিরে কাটুক এ জীবন ধারা,
জলে ভাসুক প্রেম-স্বপ্ন-স্মৃতি, হৃদয়ে গাঁথা এক মহান নাচারা।
তোমার সুধার মাঝেই মিলবে ছায়া, ধ্রুব জীবনের গান,
অবাক থেকে আজ, দেখি তোকে—তুই সেই চিরন্তন প্রণবান।