কবিতাঃ নতুন কুঁড়ি।
লেখকঃ এস,এইস,মানিক

ফাগুন হাওয়ার জোয়ারে যখন গাছের ডালে দোল,
নতুন কুঁড়ি ফুটে ওঠে, জীবন খোঁজে তোল।
গাঁয়ের মাঠে শিমুল ফোটে, পলাশ করে গান,
নতুন কুঁড়ি বলে হাসি, "আমি নব জীবন জান।"

মাটির কোলে ঘুমিয়ে ছিল অন্ধকারে ঢাকা,
সূর্যের হাত ছুঁয়ে যেন পেল আলো মাখা।
আলতা রঙের পাতা মেলে ডালে ডালে ঠায়,
নতুন কুঁড়ি ভাবে মনে, "এই তো সুখের ঘ্রাণ!"

পাড়ার লোকের কাজের মাঝে খোঁজ নেয় কেউ কি?
জীবন জুড়ে ছড়িয়ে আছে মাটির গোপন কী।
গাঁয়ের মেয়ে ঘোমটা তুলে বলে কুঁড়ির তরে,
"তুই যে আমায় শিখালি রে, আশার নবান্ন ঘরে।"

হাওয়ার সাথে নাচতে নাচতে কুঁড়ি বড় হয়,
ডালে ডালে সাজায় স্বপ্ন, গাঁয়ের বুকের বই।
শিশির কণা বলে তাকে, "তোর মুকুটে তাজ,
তুই যে মাটির গর্ব রে, তোরে জানাই আজ।"

নদীর তীরে বাঁধা নৌকা কানে কানে কয়,
"তুই যে নবীন, তোর পথচলা নদীর মতই সয়।"
নতুন কুঁড়ি হাসে মৃদু, লাজুক আলো মাখে,
গাঁয়ের মানুষ জানে সে যে আশার বীজ রাখে।

জীবনের এই কুঁড়ি বুকে বাঁচার মন্ত্র দেয়,
মাটির গন্ধ মুছে ফেলে দুঃখ যতই রয়।
ফাগুন শেষে বৈশাখ আসে, ঝড়ে কুঁড়ি যায়,
তবু তার বীজ বুনে যায়, মাটির গায়েই ঠাঁই।