কবিতাঃনৈবেদ্য আলোকরেখা
লেখকঃএস,এইস,মানিক

আমাদের ভাষায় বয়ে চলে এক নৈবেদ্য,
শব্দে শব্দে বাঁধা, আমাদের মনের চিত্র,
আঞ্চলিক উচ্চারণে বোনা এক অভিব্যক্তি—
যেখানে প্রতিটি শব্দ হয় অলংকার,
আর প্রতিটি বাক্য হয় এক আলোকরেখা।

এই ভাষা শুধু শব্দমালা নয়,
আমাদের অনুভব, আমাদের গর্ব,
যেখানে ব্যাকরণের কঠিন নিয়ম
আরো মোলায়েম হয় মাটির ঘ্রাণে,
প্রতিটি ভঙ্গিতে মিশে থাকে
আমাদের মাটির টান, আমাদের অন্তরের গান।

“তুমি কেমন আছো?” নয়,
আমাদের ভাষায় হয়, “কেমন আছস?”
আলাদা নয়, তবে আন্তরিকতার ছোঁয়া দেয়
প্রতিটি আঞ্চলিক শব্দে, প্রতিটি রূপে,
যে রূপে ফোঁটে উঠে এক সহজ সত্য,
আমাদের নিজস্ব কণ্ঠের আভিজাত্য।

ব্যাকরণের বাইরেও যে রূপান্তর আছে,
এই আঞ্চলিক উচ্চারণ সেই রূপ ধরে রাখে,
যা আমাদের কথা বলার ধাঁচে
বুনে দেয় এক নিবিড় বন্ধন,
যেন আমরা আলাদা কেউ নই,
সবাই এক আত্মার বিভিন্ন রূপ।

এই নৈবেদ্য আমাদের হৃদয় নিবেদন,
এই আলোকরেখা আমাদের সত্ত্বার প্রকাশ—
যেখানে প্রতিটি বাক্য এক মন্ত্রের মতো,
আমাদের পরিচয়, আমাদের সংস্কৃতির আলয়,
যেখানে আঞ্চলিক শব্দে লেখা হয়
আমাদের ব্যাকরণের অমর প্রতিচ্ছবি।

এই মাটির ভাষা আমাদের আলোকরেখা,
যা রয়ে যাবে চিরকাল,
আমাদের আঞ্চলিকতায়, আমাদের কথায়,
এক চিরন্তন নৈবেদ্যরূপে,
আমাদের ভালোবাসার নিবিড় ছায়ায়।