সবুজ ঘ্রাণে ভাসে মাঠের বাতাস,
তুমি কি শোনো?
নদীর ধারে, বনছায়াতে
নিস্তব্ধ দুপুরের গোপন রোদন!

কলাবতী, তোমার চোখের ভাষা
গভীর জলধি!
তোমার হাসিতে ঝরে পড়ে যেন
সূর্যের কোমল সোনালি শিশির।

শিউলি ঝরা সকালে তুমি
দূর কোন গ্রাম থেকে এসে,
আকাশের মেঘে রাঙিয়ে দিলে
তোমার শাড়ির হলুদ রং।

গোধূলির আলোয় নরম বিকেল,
হাত ছুঁয়ে গেলে শ্যামল ধানের মাঠ,
তোমার আনমনে চলার ছন্দে
বয়ে চলে হাওয়া, সুর তোলে পাতায়।

কলাবতী, তুমি কি জানো?
তোমার একটুখানি চাওয়াতেই
মাটির ঘ্রাণে কবিতা জাগে,
আকাশও হারায় তার রং।

তোমার পথে বয়ে যায় যে নদী,
তার ঢেউয়ে বাজে নাম—
কলাবতী!
শুধু তোমারই জন্য বয়ে চলে গান।