রৌদ্র পোড়া মাঠে কিশান দাঁড়িয়ে,
আকাশের বুকে কালো মেঘ নেই,
পৃথিবী যেন তেতে ওঠা চুল্লি,
ফসলের জমি আজ মরুভূমি।

তৃষ্ণার্ত নদী তলানিতে নেমে,
মাটি ফেটে গেছে হৃদয়ের মতো,
ধানের শীষে স্বপ্ন ছিল যত,
সবই আজ মিশে গেছে ধুলোয়।

হঠাৎ বাতাসে উড়ে যায় মাটি,
আঙুলের ফাঁকে ধুলো জমে,
শিশিরের মতো চোখে তার জল,
ঝরে পড়ে, কাদা হয় ধুলোর সাথে।

পেছনে কুঁড়ে ঘর, খিদের চিৎকার,
শিশুর মুখে দুধের অভাব,
স্ত্রীর চোখে বিষন্ন প্রশ্ন—
“কাল কী হবে?” উত্তর নেই।

ফসলের ক্ষেতে শূন্য দৃষ্টি,
আকাশের কাছে চেয়ে সে বলে—
“তুই কি শুনিস, ওরে কালো মেঘ?
কিশানের কান্না কেন বোঝিস না?”

বৃষ্টি আসে না, ভাঙে না আকাশ,
শুধু কিশানের বুক ভাঙে রোজ,
শুধু অন্ধকার গ্রাস করে তাকে,
নিস্তব্ধ মাঠে, নিঃসঙ্গ কান্নায়।