কবিতাঃ কাঙ্গালের দুর্ভাগ্য।
লেখকঃ এস,এইস, মানিক।

অমাবস্যার রাতে চাঁদ হারায় আকাশে,
ঠিক তেমন এক দূর্ভাগ্যের ছায়া পড়ে কাঙ্গালের চোখে।
তার ঝাঁপসি জীবনের প্রতিটা দিনের মতো,
স্বপ্ন ছিল ক্ষণিকের, আর বাস্তবতা ছিল কঠোরতর।

ধূসর মেঠোপথ ধরে সে হেঁটে চলে একা,
পিছু থেকে শোনা যায় শুধু শুকনো পাতার নাচা।
তার হাতে একখানা ছেঁড়া ব্যাগ,
যেন সেখানে পুরানো দিনের মুছানো রাগ।

একদিন পথের মাঝে দেখলো এক রমণী,
তার চুলের গন্ধে ভরলো কাঙ্গালের নিরাশার পৃথিবী।
মুখের হাসি যেন কোন স্বর্গের ছবি,
কাঙ্গালের মনেতে জাগলো এক মধুর ভাবি।

সে থামলো, তাকালো তার চোখে,
সে মেয়ে দাঁড়িয়ে ছিল নদীর পাড়ের শীতে।
তারা দু'জনের চোখে-মুখে মিলেছিল কিছুক্ষণ,
ঠিক যেন দু’টি নক্ষত্র একসাথে বাঁধলো বাঁধন।

কিন্তু কাঙ্গাল তো কেবলই কল্পনার কারিগর,
সে কি পারবে ছুঁতে তার হৃদয়ঘন স্বর?
"আমি দীন, আমি ক্ষুদ্র,"— বলে সে ফিরে এল,
সে জানে, এ প্রেম এক স্বপ্ন, যা হাওয়ায় ভেসে গেল।

কিন্তু তারপরও রমণী বসে থাকে,
তীক্ষ্ণ চাহনিতে যেন হাজারটা কথা লুকিয়ে রাখে।
সে বলে, "তোমার দুর্ভাগ্য নিয়ে আমি হাসি না,
আমার হৃদয়ের প্রেম শুধু তোমার জন্যই সাঁজানো।"

কাঙ্গালের চোখে জল এলো তীক্ষ্ণ ধারায়,
তাহলে কি ভাগ্যের মেঘটা সরে যায়।
তার দূর্ভাগ্য কি এক প্রেমে ভেসে গেল?
নাকি এ এক দারুণ জাদু, যা রাত্রি এনে দিল?

কিন্তু প্রকৃতি অদ্ভুত, এ এক গভীর রহস্য,
হঠাৎ মেয়েটি হারিয়ে গেল, মিলিয়ে গেল ক্ষণিক অক্ষি।
কাঙ্গাল পড়লো স্তব্ধ, দাঁড়িয়ে থাকলো একা,
জীবনের মানে যেন নতুন করে বুঝে দেখা।

অবশেষে সে ফিরলো তার পুরোনো পথে,
তার দুর্ভাগ্য যেন আরেক কাহিনি লিপিতে।
তবু তার হৃদয়ে জাগরুক সেই ক্ষণ,
প্রেম আর অস্পৃশ্য স্বপ্নের মধুর বেদন।