ধ্বংস আমি, সৃষ্টি আমার পূর্ণ প্রতিরোধের গান,
অন্যায় রাজ্য আনবো ছেদ, গড়বো বিজয়ের কপাল।
জন্মেছি আজ, তিন শিখার রূপে, ত্রিমাত্রার অগ্নিবান,
অন্যায়-শাসক, তোমার যবনিকা হবে এখানেই শেষ পরান।
প্রথম শিখা জ্বলবে ঘরে, ভেঙে দেবে শাসনের বৃত্ত,
শত বর্ষের অভিশাপে চাপা পড়া সব কণ্ঠে শাণিত যুক্ত।
তুমি যারা অমানুষের দল, স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছ,
তোমাদের বাড়ি গড়িয়ে ধূলা করব, আর রক্তলাল জ্বেলেছ।
দ্বিতীয় শিখা জ্বলুক মাটিতে, কৃষকের ক্ষোভে প্রবল,
তাদের ঘামে যে রাজ্য পুষ্ট, তাদের গড়া দেখাক বিফল।
শৃঙ্খল ভাঙবে হালচাষি, রচনা করবে নতুন দিগন্ত,
তাদের বিপ্লবী পায়ে পিষে যাবে অন্যায়ের মারণ বন্ধ।
তৃতীয় শিখা উঠুক শহরে, কারখানায় ফেটে পড়ুক বল,
শ্রমিকের কাঁধে চাপানো বোঝা তছনছ করে দাও দলমল।
মেশিন ঘুরবে শ্রমিকের মতো, নিয়ন্ত্রক হবে তারাই,
যুদ্ধের ঘর থেকে বেরিয়ে আনো আলো; সবকিছু নতুন সাজাই।
ত্রিমাত্রার এই ধ্বংসযজ্ঞে, জন্ম নেবে নতুন জীবন,
কানে বাজবে বাঁচার গান, শান্তি হবে জাতির লক্ষ্য ক্রম।
চাই না রাজা, চাই না শাসক, চাই না ভোগের ধ্বজা,
চাই একটুকরো মাটি—সেটাই হোক স্বাধীনতা ও বাঁচার রথ।