ঘরের দেয়াল ঠান্ডা, তবু কেমন ভেজা,
দরজার ফাঁক দিয়ে ঢোকে কুয়াশার স্রোতা।
আলো নিভিয়ে শুতে গেলে শোনায় কারো নিঃশ্বাস,
মনে হয় কেউ ও-পাশে বসে আছে নিঃসাড়।

রাতে দেয়াল থেকে ভেসে আসে কান্না,
একটা চাপা গোঙানি, দমবন্ধ আহ্বান!
কেউ যেন দেয়ালের ভেতরে বন্দি,
শতাব্দীর পুরনো এক মৃত প্রাণ!

নখ দিয়ে আঁচড় কাটে কেউ দেয়ালের গায়ে,
একটা হাত, তারপর আরেকটা...
সাদা পাথরের মাঝে ফাটল দেখা দেয়,
কান্না বাড়ে... এবার স্পষ্ট শোনা যায়!

“খুলে দাও... আমাকে বের হতে দাও...”
একটা মেয়ে কাঁদছে, কণ্ঠস্বর ক্ষতবিক্ষত,
আমি ঠান্ডা ঘামে ভিজে যাই বিছানায়,
চোখের সামনে—দেয়ালের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে...

একজোড়া রক্তাক্ত হাত!
চামড়া নেই, শুধু কঙ্কাল ঢাকা মাংস,
চোখ নেই, তবু আমার দিকে চেয়ে আছে,
তারপর... দেয়াল ফুঁড়ে বেরিয়ে আসে মুখহীন এক ছায়া!

ঘর কাঁপে, বাতাস গুমোট হয়,
আমি দৌড়াতে চাই—কিন্তু পা আটকে যায়!
শেষবার শুনতে পাই দেয়ালের সেই কান্না,
তারপর... আমি আর কিছু মনে করতে পারি না!