রাত্রির অন্ধকার চিরে, জ্বলছে যে এক প্রদীপ,
সেই আলোয় জেগে ওঠে শত শত গীত।
সে চন্দ্রাবতী, নাম যে তার, কাব্যের রাণী,
তার ছন্দে বাজে আজো, বাউলিয়া বাণী।
শিউলি ফুলের মতো, নরম তার মন,
চোখের জলে রঙিন হলো, সৃষ্টির এই বরণ।
প্রেমের ভাঙা তরী বেয়ে, সে গাইলো গান,
যার প্রতিটি সুরে ছিলো, ব্যথার সম্মান।
পৃথিবীর বুকে সে লেখা এক শ্বেত চন্দন,
কালের স্রোতেও মুছে না যায়, তার সেই বন্ধন।
বুকের মাঝে নদীর কলতান, কান্নার বাঁশি,
তার কথারা ঝরে যেন স্বর্গের ভাষি।
সে ভালোবেসে ছিল, পেয়েছিল কি তার?
প্রেমের বিনিময়ে সে পেলো কেবল আঁধার!
নদীর জলে ভাসলো কি তার স্বপ্নের তরী,
নাকি সে রয়ে গেলো ব্যথারই পরী?
আজো পূর্ণিমার রাতে, কেউ যদি শোনে,
হাওয়ার ভাষায় তার গান আজো বাঁধন টানে।
সে হারালো না, চিরন্তন সে, রইলো কবিতায়,
তার ছন্দে বিশ্ব থমকে, আজো প্রেমে মাতায়।
তুমি যদি একবার পড়ো তার ব্যথার বাণী,
তবে হৃদয় জুড়ে বাজবে তার কাব্যের রাগিণী।
সে চন্দ্রাবতী, নাম যে তার, চিরকালীন আলো,
তার কথা আজো ছড়িয়ে পড়ে—সৃষ্টির কালো।।