অন্তরে বাজে মধুর সুর,
বসন্ত নামে বাতাসে জুর।
চন্দ্রালোকে দীপ্ত রজনী,
চন্দ্রমুখীর আলো ঝলমলিনী।
পুষ্পরানীর প্রাঙ্গণে সে,
বসন্ত চরণে প্রেমে পড়ে।
নির্জন বনে খেলা ধুলা,
হৃদয় বলে—“সে মোর তুলা!”
চন্দ্রকান্ত মায়াবী হাসি,
চন্দ্রমুখী দুখ খায় নাশি।
বসন্ত দেখে চুপিচুপি,
স্বপ্ন দেখে ছায়া ডুপি।
"আয়," বলে, "তুমি হবে রাজপুত্র,
দেয়াল ভাঙো এই হৃদয়সূত্র।
অভিসারে কভু থাকবে নি,
তোমায় দেব প্রাণ জ্বালানি!"
বসন্ত বলে, “তুমি সুজলা,
তোমার হাসি আকাশ গুজলা।
তোমায় দেখে ফুল ফুটে,
আমার হৃদয় বন্দি টুটে!”
ফুলেরা দেয় মালা তৈরি,
পাখিরা গায় গান ছন্দ গাই।
চন্দ্রমুখী বসন্তের বুকে,
হৃদয় ভরে অমৃত দুখে।
রাত পেরিয়ে দিনের ধারা,
তারা গানে বাঁধে মধুর ইশারা।
বসন্ত-চন্দ্র গল্প লেখা,
জীবনে বাঁচে প্রেমে দেখা।
তারা সুখী, তারা ধ্রুব,
সময়ে তারা করে রবি-শ্রুব।
রূপকথা এই প্রেমের নদী,
চিরকাল বয়ে চলে নিরবধি।