,জ্বালো আগুন আজ, বিদ্রোহের মহাগীত গাও,
নীরবতার শিকল ছিঁড়ে রাজপথে গর্জে উঠাও।
বুকের তলায় থেমে থাকা অশ্রু, রক্ত আর অগ্নি,
এই মাটিতে আনবে নবজীবন, মুছবে যাবতীয় লজ্জা চিহ্ন।
গণদেবতা উঠুক জেগে, পাহাড় যেন কাঁপে তার ক্রোধে,
নদীর স্রোতধার সাথী হোক, ন্যায়ের ঢেউ বইয়ে জাতির রোধে।
এ মহাগীত ধ্বংসেরও, এটি আবার নির্মাণের সূত্র,
যেখানে দ্বিগ্বিজয় শাসকের জাল ছিন্ন করে করবো মুক্ত।
কেন আজো শান্তি শুধু গল্পে, কেন সব সুখ কল্পনায়,
জ্বলন্ত ধ্বংস আমি হবো আজ, শপথ লই স্বাধীনতায়।
মিছিলের পায়ের শব্দে ভাঙুক নিস্তব্ধ চির কালো,
তুমি আমি মিলে হবো স্রষ্টা, অন্ধকারের করবো জ্বালানো আলো।
যখন চাষার পিঠে জোয়াল বয়ে, আর সন্তানের বুক ফাটে,
তখনো কি নীরব থাকবে? আনবো কি না নব ইতিহাসের বাটে?
তোমার বুকের আগুন, আজ হোক বিস্ফোরণ,
বিদ্রোহের মহাগীত গেয়ে দাও জাতির নব ঘোষণা।
শক্তিশালী যে মহারাজ, করবে না সে ক্ষমা বিলাস,
তবু আমাদের অস্ত্র বুকের বল, হাতের শ্রম, ন্যায়ের নিঃশ্বাস।
এই বিদ্রোহ হবে মহাগীত, কালের গর্ভে গেয়ে যাবে,
আমাদের আত্মা, আমাদের স্বাধীনতা—পৃথিবীতে অমর থাকবে।