আমি আগুনের সন্তান, মেঘ ফুঁড়ে যাই উর্ধ্ব শিখরে,
ভাঙি সব বাঁধা, ধ্বংস করি তবু গড়ি নবতর স্বদেশে।
আমার হৃদয়ে জ্বলন্ত শিখা, তপ্ত রক্তে যে ঝরে রাগ,
শৃঙ্খল ভাঙি আনবো স্বাধীনতা, সুনিশ্চিত পরাগ।

এই মাটি আমার, এই জল আমার,
এই ঘামে-ভেজা দিগন্ত।
নামো, হে অত্যাচারী শাসক,
তোমার পাপের কালস্রোত থামাবো কণ্টক দন্ত!

গর্জে উঠুক কন্ঠ, অগ্নি ছড়াক প্রতিটি শিরায়,
উল্কার শিখায় জ্বলে উঠি আমি, উঠি রাজপথের ধারায়।
জানো কি নাম আমার? শুনেছো কভু বিদ্রোহীর কাহিনি?
যে তেজে ধ্বংস রাজ-গৃহ, সে তেজ আমার—আমি চিনি।

আমার অস্ত্র কবিতা, আমার শক্তি ইস্পাত শাণিত,
তোমার সিংহাসন ভাঙি গড়বো জনতার মঙ্গল-মতবৃত্ত।
আমার মা যে মাটি, আমার গানে আছে তার গন্ধ,
জানিয়ে দাও বিশ্বে আজ, স্বাধীন স্বদেশেই প্রাণের অন্ত।

আমি আগুন, আমি আলো, আমি চিরন্তন বিদ্রোহ,
আমার শিকড়ে শুধু বারুদ মিশে—চাই বেঁধে নতুন মোহ।
তাই বলি বন্ধু, জেগে ওঠো তুমি, আনো ঝড় এই স্বপ্নে,
আগুনের সন্তান আমরা সব, রাজ্যে আনবো নতুন পৃথিবীতে!